Advertisement
Advertisement
Congress

বাংলার জনতা ‘হাত’ ছাড়ছে কেন? জানতে পঞ্চায়েতের আগে ‘দুয়ারে’ কংগ্রেস

ব্যাপারটা কী?

Congress to launch new campaign to analyse people mindset | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 13, 2023 1:52 pm
  • Updated:February 13, 2023 1:52 pm

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: শুরু হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের ‘হাত সে হাত জোড়ো’ যাত্রা কর্মসূচি। যে কর্মসূচিতে কংগ্রেসের মূল উদ্দেশ‌্য মানববন্ধন তৈরি। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যার প্রথম ধাপেই দলের নেতা-কর্মীদের প্রশ্ন থাকবে, জনতা কেন ‘হাত’ ছেড়ে দূরে সরে গেলেন। জানানো হয়েছে, শুধু নেতা বা কর্মীরা জেনে এলেই হবে না। যে বাড়িতে তাঁরা গিয়েছেন, সেই বাড়ির কর্তার নাম, পরিচয়পত্র ও ফোন নম্বরও সংগ্রহ করতে হবে। তাঁকে দিতে হবে নিজের নম্বরও। আস্তে আস্তে ওই বাড়ির কর্তার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। এমনকী, বাংলায় দলের সংগঠন তলানিতে পৌঁছনোর কারণ জানতে প্রদেশ নেতৃত্বও পরে ওই বাড়ির কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। দেশজুড়ে কংগ্রেস ভারত জোড়ো কর্মসূচির পর ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘হাত সে হাত জোড়ো’ নামে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছে। ভারত জোড়োয় অংশ নিয়েছেন এমন ‘ভারতযাত্রী’দের নতুন এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজ্যে যাবেন। বাংলায় যেমন এই কর্মসূচির পর্যবেক্ষক করা হয়েছে কাশ্মীরের প্রাক্তন বিধায়ক গোলাম মহম্মদ মিরকে। তাঁর উপস্থিতিতেই শুক্রবার এ নিয়ে প্রাথমিক বৈঠক করে প্রদেশ নেতৃত্ব। বৈঠকে দেবপ্রসাদ রায়, নেপাল মাহাতো, মায়া ঘোষ, অসিত মিত্র, শুভঙ্কর সরকারের পাশাপাশি ছিলেন ভারত জোড়োয় অংশ নেওয়া পূজা রায়চৌধুরীও। এ নিয়ে তাঁদের প্রত্যেকের বক্তব‌্য জানতে চাওয়া হয়। নিজেদের মতো করে অভিজ্ঞতাও জানান তাঁরা। সেই বৈঠকেই ব্লকস্তর পর্যন্ত কীভাবে কর্মসূচিকে নিয়ে সফল করা যায় তার বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। শুভঙ্কর সরকারের কথায়, “ভারত জোড়ো অরাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে। সেখানে অনেক দল, অনেক ব‌্যক্তি যোগ দিয়েছিলেন। এবার কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মসূচি। রাহুল গান্ধী গোটা দেশকে জুড়তে চেয়েছেন। তাঁর সেই বার্তাই মানুষের কাছে নিয়ে যাবে দল। আমরা মানুষের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি করতে চাই।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্রেমদিবসের আগে শীতের আমেজ, এক রাতে প্রায় ৫ ডিগ্রি নামল কলকাতার তাপমাত্রা]

যদিও গোটা পর্ব নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের ব‌্যাখ‌্যা, বারবার ভোটে জনমত পাওয়ার পরও বামেদের হাত ধরে এগোতেই চাইছে কংগ্রেস। একসঙ্গে কর্মসূচি করতেও বারবার আমন্ত্রণ পাঠাচ্ছে। এই নীতি নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন আছে। সম্প্রতি দলের এই নীতির কথা রাহুল গান্ধীকেও জানিয়ে এসেছেন শুভঙ্কর। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, এর পরও আবার নতুন করে সংগঠনের দুর্বলতা জানতে জনমত নেওয়ার অর্থ কী?

Advertisement

অন‌্যদিকে, দলের সিনিয়র নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো পঞ্চায়েত নিয়ে একাধিক বৈঠকে ভোটের সময় দলের প্রার্থী বা কর্মীদের বিপদের পাশে থাকার পক্ষে সওয়াল করেছেন দলের মধ্যেই। সেই প্রসঙ্গ শুক্রবারের বৈঠকে ফের ওঠে। নেপালবাবু মার্চের শেষ বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে যে পঞ্চায়েত সম্মেলন করার কথা জানিয়েছেন, সে প্রসঙ্গও ওঠে বৈঠকে। ঠিক হয়েছে, কর্মীদের মনের জোর বাড়াতে ব্লক ও অঞ্চলে পঞ্চায়েত সম্মেলনের সঙ্গে হাত সে হাত জোড়ো কর্মসূচি একসঙ্গে চলবে। তাঁর কথায়, “আমরা কর্মীদের প্রস্তুত করছি। আমাদের কর্মসূচিতে মানুষকে যুক্ত করার কাজ হবে। মানুষের কথা শোনা হবে।”

[আরও পড়ুন: মেলায় ‘মত কি কুয়া’ ঘিরে গতির খেলা, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উপর থেকে নিচে বাইক পড়ে আহত ১০]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ