Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফণী

ফণী আতঙ্ক, শুক্রবার থেকে বাতিল কলকাতা বিমানবন্দরের সমস্ত উড়ান

টিকিট বাতিলের ফি মকুব করেছে বিভিন্ন বিমান পরিষেবা সংস্থা।

Cyclone Fani: Bhubaneswar Airport Closes At Midnight, Kolkata Tomorrow.

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:May 2, 2019 9:26 pm
  • Updated:May 2, 2019 9:34 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফণীর জেরে এবার বাতিল হচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দরের সমস্ত বিমান পরিষেবা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ন’টা থেকে শনিবার সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত কোনও বিমান ওঠানামা করবে না নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে৷

শুক্রবার দুপুরের মধ্যে ওড়িশার পুরী উপকূলে আছড়ে পড়ার কথা ফণীর। সেকারণে ইতিমধ্যেই ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে থেকে সমস্ত উড়ান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ভুবনেশ্বর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে আর কোন বিমান চালানো হবে না। ফণীর জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই পরিবেষা স্থগিত রাখা হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন-ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী, নিরাপত্তার স্বার্থে রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা]

ভারতীয় বিমান মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, যাত্রীদের সুরক্ষা ও অসুবিধার কথা মাথায় রেখে ফণী আছড়ে পড়ার আগেই বিমান পরিবেষা বাতিল করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী সুরেশ প্রভু বলেন, “প্রত্যেক সরকারি সংস্থাগুলোকে ফণীর বিষয়ে সর্তক করা হয়েছে। ফণীর জেরে বিপর্যস্ত মানুষজনকে উদ্ধার করা ও ত্রাণকার্য চালাতে সহযোগিতার জন্য সমস্ত বিমান পরিবেষা সংস্থাগুলোকেও অনুরোধ করা হয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন-শক্তিশালী ফণীর ছোবলের আশঙ্কায় কাঁটা ওড়িশা, মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলা]

ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবারই অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে তাদের সমস্ত বিমান বাতিল করেছে ইন্ডিগো। ভিস্তারা এয়ারলাইন্সও ২ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত কলকাতা এবং ভুবনেশ্বরগামী সমস্ত বিমান বাতিল করে বিমানের টিকিট পরিবর্তন ও বাতিলের ফি মকুব করেছে। বি়জ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করে একই পথে হেঁটেছে গো-এয়ার এয়ারলাইন্সও। তবে তারা কলকাতা ও ভুবনেশ্বরের পাশাপাশি রাঁচিকে এই তালিকায় রেখেছে।

আবহবিদ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপাসাগরের উপর অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ফণী৷ প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় শুক্রবার আছড়ে পড়তে পারে পুরীতে৷ কিছুটা শক্তিক্ষয় হওয়ার পরে তা ঢুকবে বাংলায়৷ প্রায় ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা ফণীর প্রভাব কার্যকর থাকবে রাজ্যে৷ সেই সময় হাওড়া, হুগলি-সহ অন্যান্য উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে৷ ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে৷ ৪ মে বিকেলের পর থেকে রাজ্যের আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে৷ বাংলা হয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোড় নেবে বাংলাদেশের দিকে৷ সেখানে প্রায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া৷ সঙ্গে চলবে অতি ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ