ছবি: প্রতীকী
গৌতম ব্রহ্ম: করোনা নয়। ছিল জটিল রক্তাল্পতার অসুখ, যার উপসর্গ অনেকটা করোনার মতো। এবং তারই জেরে মৃত্যুর পরও নিয়মের জটিলতায় আটকে রইল এক মহিলার দেহ। সোমবার এনআরএসের আইসোলেশনে থাকা এক রোগীর মৃত্যুর পর এমনই বিড়ম্বনার মুখোমুখি হলেন বাড়ির লোক। নেপথ্যে সর্বগ্রাসী করোনা আতঙ্ক।
যদিও বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই সতর্কতা একান্ত জরুরি বলে মনে করছে চিকিৎসকমহল। তাদের বক্তব্য, বনগাঁবাসী ওই রোগীর দেহে নোভেল করোনা ভাইরাস পাওয়া গেলে বাড়ির লোক তো বটেই, যে হাজারো মানুষের সঙ্গে উনি মেলামেশা করেছিলেন, প্রত্যেককে খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টাইন করা ছাড়া গতি থাকত না। অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া। এই রক্তের রোগের জন্যই হিমোগ্লোবিন সাড়ে চারে নেমে গিয়েছিল। এনআরএস হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি নিয়ে শুরু হয়েছিল চেন্নাই ফেরত ওই মহিলার চিকিৎসা। সকালে লালারসের নমুনা যায় বেলেঘাটার নাইসেডে। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই দুপুর একটা নাগাদ মৃত্যু হয় বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলার। রাত পর্যন্ত রিপোর্ট এনআরএসে এসে পৌঁছয়নি। মরদেহ মর্গেই রেখে দেওয়া হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর নির্ধারিত নিয়ম মেনে রিপোর্ট আসা পর্যন্ত দেহ আলাদা করে রাখা হবে হাসপাতালেই। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা ভেলোরের একটি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর ফের অসুস্থ হন। পরিস্থিতির অবনতি হলে রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁকে ভরতি করা হয় এনআরএসে। জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় ডাক্তাররা আইসোলেশন পাঠিয়ে দেন তাঁকে। এনআরএস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ হলে দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। কিন্তু পজিটিভ হলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অন্ত্যেষ্টি হবে। যেভাবে বাকি দু’জনের হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর (WHO) গাইডলাইন মেনেই হবে সবটা। যদিও অসমর্থিত সূত্রের খবর, ওই মহিলার সোয়াব টেস্টের প্রাথমিক রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু, ফের আর একবার পরীক্ষার প্রয়োজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.