ফাইল ছবি
নব্যেন্দু হাজরা: ‘জাওয়াদে’র জেরে বাধা পেয়েছিল শীত। তবে তার প্রভাব কাটতেই একটু একটু করে নামছে তাপমাত্রার পারদ। তাতে বেশ খুশি শীতবিলাসীরা। ধীরে ধীরে আলমারি থেকে শীতপোশাক বের করতে শুরু করেছেন অনেকেই। বুধবার সকালে ঘন কুয়াশায় ঢাকল কলকাতা। শহরের বেশিরভাগ জায়গায় দৃশ্যমানতা ছিল অনেকটাই কম। তার প্রভাব পড়ে বিমান চলাচলেও। এদিন সকালে দমদম বিমানবন্দরে প্রায় দু’ঘণ্টা বন্ধ ছিল বিমান পরিষেবা।
দমদম বিমানবন্দর সূত্রে খবর, এদিন সকাল ৬টা নাগাদ দৃশ্যমানতা কমে দাঁড়ায় ১০০ মিটার। তার ফলে নির্দিষ্ট সময়ে দমদম বিমানবন্দর থেকে বিমান উড়তে পারেনি। প্রায় ভোর ৫টা ৩৭ মিনিট থেকে ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত একটিও বিমান দমদম বিমানবন্দর থেকে ওড়েনি। বিমানবন্দর সংলগ্ন রাজারহাট, নিউটাউনের পরিস্থিতিও ছিল একইরকম। ঘন কুয়াশার চাদরে মুখ ঢাকে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। হাওড়া, হুগলি নদিয়াতেও কুয়াশার দাপট। তার প্রভাবে গাড়ির গতি ছিল শ্লথ।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। দিনভর আকাশ মেঘলা থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশার দাপট থাকলেও, বেলা বাড়তেই তা সরে যাবে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯৮ শতাংশ। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলিতে আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। শুষ্ক আবহাওয়া উত্তরবঙ্গেও। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার তারতম্যে জলীয় বাষ্প থাকায় কুয়াশা হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি।
কনকনে শীতের আমেজ কবে উপভোগ করা যাবে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে এখনই কোনও আশার বাণী শোনা যায়নি। কারণ, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেও জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা কম। জাঁকিয়ে শীতের জন্য আরও সপ্তাহদুয়েক অপেক্ষা করতে হবে বলেই মত আবহাওয়াবিদদের। আপাতত একটু একটু করে রাতের তাপমাত্রা কমবে। তার প্রভাবে হালকা শীতের আমেজ উপভোগ করতে পারবেন শীতবিলাসীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.