সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবেমাত্র শিথিল হয়েছে লকডাউন। শুরু হয়েছে আনলক ওয়ান। কনটেনমেন্ট জোন ছাড়া প্রায় সর্বত্রই শিথিল নিয়মকানুন। খুলেছে ধর্মস্থানের দরজাও। দীর্ঘদিন ধরে বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে করোনার কথা ভুলে গেলেন অনেকেই! মাস্ক ছাড়াই জমায়েত হলেন মন্দিরে। সামাজিক দূরত্ব বিধি লঙ্ঘন করেই চলল পুজোপাঠও।
সোমবার সকালে কলকাতার বেশ কয়েকটি মন্দিরের দরজা খুলে যায়। তাতেই ভিড় জমান বহু মহিলা। শুরু হয় দশহরা পুজো। আহিরীটোলা ঘাট এবং বাগবাজার ঘাটে চলছে পূজার্চনা। ভিড় জমান অনেকেই। মন্দিরে জড়ো হওয়া অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক। আবার কেউ কেউ শুধুমাত্র নিয়মের কথা মাথায় রেখে মাস্ক পরেছিলেন ঠিকই। কিন্তু তা সঠিকভাবে না। তার ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা যে অনেকটাই বাড়বে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। করোনা সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের বিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও সামাজিক দূরত্ব বিধিও মানেননি অনেকেই। পরিবর্তে একসঙ্গে ভিড় জমিয়ে পুজো করলেন বহু মহিলা।
[আরও পড়ুন: আজ থেকে কালো কোট এবং টাইয়ে দেখা যাবে না টিটিইদের, বদলাচ্ছে টিকিট পরীক্ষার পদ্ধতিও]
১ জুন থেকে রাজ্যের ধর্মীয় স্থানগুলির দরজা খুলে দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে কেন্দ্রের তরফে লকডাউনের নয়া বিধিনিষেধের বিজ্ঞপ্তিতে ধর্মস্থান খোলার কথা উল্লেখ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন ভিড় না জমিয়ে মাত্র ১০ জন করে ঢুকতে দেওয়া হবে মন্দিরে। প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয় মাস্ক। এমনকী হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশও দেওয়া হয়। তবে তা সত্ত্বেও নিয়ম না মানলে বাধ্য হয়ে মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আনলক ওয়ানের প্রথম দিনেই মানা হল না উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও সোমবার খোলেনি বেশ কিছু মন্দিরের দরজা। খুলল না কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, তারাপীঠের দরজা। খোলেনি বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরের দরজাও।
দেখুন ভিডিও:
ছবি ও ভিডিও: পিন্টু প্রধান