সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: নিষিদ্ধ মাদক সরবরাহ করা হত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। দিনের পর দিন এই কাজ করা হত। রমরমিয়ে চলছিল ব্যবসা। গোপনে পড়ুয়াদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হত মাদক। এমনই এক নিষিদ্ধ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করল যাদবপুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম অজয় চট্টোপাধ্যায়। তার কাছ থেকে প্রায় ১ কেজি ৩১৫ গ্রাম নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়েছে।
[বিপদ থেকে কীভাবে বাঁচতে হবে? স্কুল পড়ুয়াদের শেখাল কসবা থানার পুলিশ]
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অজয়ের বাড়ি সোনারপুর এলাকায়। রবিবার রাতে বমাল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা করে যাচ্ছে অজয়। এদিকে সোনারপুর এলাকায় সরকারি চাকুরে হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়ে রেখেছে সে। এই পরিচয়ের আড়ালেই রোজ যাদবপুরে যাতায়াত করত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ছিল তার টার্গেট। তাঁদের কাছেই নিষিদ্ধ মাদক বিক্রি করত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, দীর্ঘদিন ধরে অজয়ের উপর নজর রেখেছিল যাদবপুর থানার পুলিশ। শেষে রবিবার মাদক-সহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাদকের এই কারবারে অজয়ের সঙ্গে আরও কে কে যুক্ত? কাদের সে এই মাদক সরবরাহ করত? এর জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে কেবল টাকাই নেওয়া হত, না এর বিনিময়ে তাঁদের দিয়ে অনৈতিক কাজ করানো হত? এই প্রশ্নের উত্তর জানতেই অজয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এর নেপথ্যে কোনও বড় মাদক পাচারচক্রের ভূমিকা থাকতে পারে বলে অনুমান করছে পুলিশ।
[মনোনয়নে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে বামফ্রন্ট]
কেবল যাদবপুর নয় শহরের একাধিক জায়গায় মাদকের কারবারের হদিশ গত কয়েকদিনে পেয়েছে পুলিশ। সাধারণত রাতের পার্টি কিংবা রেভ পার্টিতে এ ধরনের নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহার করা হয়। এর প্রভাবে যে কোনও সময় বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে। আর একবার নেশার কবলে পড়লে সারাটা জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ সত্য জেনেও নিষিদ্ধ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে তরুণ প্রজন্মের একাংশ। এদের ব্যবহার করেই রমরমিয়ে ব্যবসা চালায় অজয়ের মতো কারবারিরা।