Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইটালি

‘বড় অসহায় লাগছে’, ইটালিতে আটকে থাকা মেয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে বাবার

সচেতন নাগরিক হওয়ার পরিচয়ও দিয়েছেন কলকাতাবাসী এই বাবা।

Father is worried for his daughter as she got stuck in Italy
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:March 21, 2020 7:23 pm
  • Updated:March 21, 2020 7:23 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্বে এখন করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির নাম ইটালি। আয়তনে চিনের তুলনায় অনেকখানি ছোট হলেও মৃতের সংখ্যায় চিনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে এই দেশ। এমন পরিস্থিতিতে সেখানেই আটকে রয়েছেন বাড়ির মেয়ে। আর মেয়ের জন্য দুশ্চিন্তা ও আতঙ্কে বুক ফাটছে বাবার। ‘বড় অসহায় লাগছে।’ ফেসবুকে লম্বা পোস্ট করে ডুকরে উঠেছেন অক্ষয় ধালি। সেই সঙ্গে একজন সচেতন নাগরিক হওয়ার পরিচয়ও দিয়েছেন এই বাবা।

তাঁর ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, গত বছরই রসায়নে পিএইচডি করতে ইটালি গিয়েছেন তাঁর মেয়ে। কিন্তু গোটা বিশ্বে করোনা যে এভাবে প্রভাব বিস্তার করবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি ও তাঁর পরিবার। তবে মেয়ে সাহসী। তাই করোনা বিশ্বের দরবারে মাথাচাড়া দিলেও মেয়েকে তিনি বাড়ি ফেরানোর কথা মাথায় আনেননি। মেয়েও ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। পরবর্তীতে যখন এই মারণ ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করে, তখন মেয়েকে বাড়ি ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু কিছু সমস্যার জন্য মেয়ের ফেরা হয়নি। তাছাড়া বাবা চাননি, এমন সংকটজনক মুহূর্তে মেয়ে বিদেশ থেকে ফেরায় অন্য কারও সমস্যা হোক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্ক দূর করতে সচেতনতার পাঠ দিচ্ছেন সুপার সিস্টার]

বর্তমানে লক-ডাউন ইটালি। ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ। তবে এসবের মধ্যে স্বস্তি একটাই। সরকার দেশের জনগণের প্রতি অত্যন্ত সচেতন ও দায়িত্বশীল। মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনের যাবতীয় ওষুধ, খাদ্যসামগ্রী, পানীয়, পোশাক ইত্যাদি প্রত্যেকের ঘরে ঠিক মতো পৌঁছে দিচ্ছে। জনসাধারণের ঘর থেকে বেরনোর দরকারও হচ্ছে না। তাঁর মেয়ের ঘরে এখনও দুই মাসের খাদ্য মজুত আছে।

Advertisement

ছোট থেকে লেখাপড়ায় বেশ ভাল মেয়ে। নিম্নবিত্ত কৃষক পরিবারের সন্তান অক্ষয়বাবু খুব কষ্ট করেই মেয়েকে বড় করেছেন। একসময় ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন। অর্থাভাবে মেয়েকে সরকারি স্কুলেই পড়িয়েছেন। মাধ্যমিকে সবকটি বিষয়ে লেটার মার্কস নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল মেয়ে। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। গত বছরই শিক্ষক বাবার মেয়ে রসায়নে ডক্টরেট করতে বিদেশ পাড়ি দেন। কিন্তু মেয়ের জন্য এখন দিন-রাত চিন্তা হচ্ছে অক্ষয়বাবুর। কলকাতায় থেকেও সুদূর ইটালিতে পড়ে তাঁর মন। যেভাবে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে আতঙ্কিত হওয়াও স্বাভাবিক। এখন যাতায়াতের সমস্ত রাস্তাও বন্ধ। তাই বড় অসহায় বোধ করছেন পিতা। প্রার্থনা একটাই, মেয়ে যেন সুস্থ থাকে।

[আরও পড়ুন: ‘শনির প্রকোপে এধরনের মহামারি হয়’, করোনা নিয়ে নয়া তত্ত্ব দিলীপের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ