Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রশান্ত কিশোর

‘এখনই ভোট ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়ুন’, ক্লাসে তৃণমূল কাউন্সিলরদের পাঠ দিলেন পিকে

লবি করে টিকিট পাওয়া যাবে না, পুরভোটের আগে বার্তা প্রশান্ত কিশোরের।

Here is what Poll strategist Prashant Kishor teaches TMC leaders
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 3, 2020 5:09 pm
  • Updated:January 3, 2020 5:09 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতে হইহুল্লোড়ে গা না ভাসিয়ে নিজেদের এলাকায় কাজে মন দেওয়ার কড়া নির্দেশ ছিল নেত্রীর। সেইমতো ২০২০-এর গোড়া থেকেই দলের প্রত্যেক জনপ্রতিনিধি সজাগ হয়ে গিয়েছিলেন। বুঝে নিয়েছিলেন, সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। তা পূরণ করতেই হবে। এবার তাঁদের এই কাজের নির্দিষ্ট রুটিন বেঁধে দিতে রীতিমতো ক্লাস নিলেন প্রশান্ত কিশোর, তৃণমূল মহলে যিনি ‘পিকে স্যার’ বলেই পরিচিত হয়ে গিয়েছেন। শুক্রবার তিনি কাউন্সিলরদের ডেকে আলোচনায় বসলেন। সবাইকে বলে দিলেন, ”এখনই ভোট হবে, ধরে নিয়ে কাজ শুরু করে দিন। হৃত জনসমর্থন ফিরে পেতে কাজই এক ও একমাত্র বিকল্প।”

গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল আশানুরূপ হয়নি মোটেও। কলকাতায় অবশ্য পরিস্থিতি এতটা খারাপ নয়। রাজ্যের অন্যত্র বাড়বাড়ন্ত হলেও এখানে দাঁতও ফোটাতে পারেনি গেরুয়া শিবির। কিন্তু তাই ‘বলে তো চলতি বছর পুরভোটের আগে নিশ্চিন্তে বসে থাকা যায় না। যেখানে পুরসভাগুলিই জনসাধারণকে প্রাথমিক পরিষেবার দেওয়ার প্রাথমিক ধাপ। একথা বারবার উল্লেখ করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেকথা মাথায় রেখেই পুরভোটের প্রস্তুতি শুরুর মুখেই তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে সামনে এগিয়ে দিল দল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বাংলায় এক কোটি অনুপ্রবেশকারী মুসলমান রয়েছে’, CAA কর্মশালায় মন্তব্য দিলীপের]

শুক্রবার তিনি সমস্ত কাউন্সিলরদের নিয়ে ক্লাস নিলেন পিকে। সূত্রের খবর, তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কাজ করে যেতে হবে। লবি করে টিকিট পাওয়া যাবে না। আর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে ‘দিদিকে বলো’র প্রচার। এসব পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই বিচার হবে, পুরভোটে কে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য, কে নন। পিকে’র কাছে আগে থেকেই রিপোর্ট ছিল যে জনসংযোগের পক্ষে অন্যতম অনুকূল এই কর্মসূচি পালনে ফাঁকি দিয়েছেন বহু জনপ্রতিনিধিই। তাই এই কড়া বার্তা তৃণমূলের নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট।

Advertisement

সূত্রের খবর, পিকে এদিন কাউন্সিলরদের ধরে ধরে এও বোঝান যে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করা নয়, বরং দরদ দিয়ে জনসংযোগ করলে সমর্থন মিলবে। এখনই ভোট, এটা ধরে নিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করে দিতে হবে। গায়ের জোরে ভোট না করিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুন। মোট কথা, কাজে যা কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল, তা দ্রুতই মিটিয়ে ফেলতে হবে। কোনও ফাঁকফোকর যাতে না থাকে, সেদিকে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দলের নেতাদের কোনওরকম ফাঁকিবাজি আটকাতে পিকে’র দাওয়াই তেতো লাগলেও গিলতেই হবে সকলকে। অন্তত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটাই চান।

[আরও পড়ুন: ট্রেনের শৌচালয় থেকে দুই অপরিণত সদ্যোজাতর দেহ উদ্ধার, তদন্ত শুরু রেলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ