Advertisement
Advertisement

সোয়াইন ফ্লু’র কবলে দুই গবেষক, চিকিৎসা প্রদানে নারাজ শহরের হাসপাতাল

অভিযোগ অস্বীকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের৷

Hospitals deny treatment to swine flu victims
Published by: Tanujit Das
  • Posted:February 23, 2019 9:03 am
  • Updated:February 23, 2019 9:20 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোয়াইন ফ্লুয়ে আক্রান্ত হয়ে শহরে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়তে হল দুই রোগীকে৷ একজন প্রবাসী বাঙালী এবং অন্যজন বিদেশিনী৷ আক্রান্তদের নাম সৌমিত্র বেড়া ও বিয়াঙ্কা ইভানকোভা৷ অভিযোগ, তাঁরা সোয়াইন ফ্লুয়ে আক্রান্ত জানতে পেরে, ভরতি নিতে চায়নি শহরের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল৷ অসুস্থ অবস্থায় হেনস্তার শিকার হতে হয় তাঁদের৷ কাঠগড়ায় অ্যাপোলো, কলম্বিয়া এশিয়া ও বেলঘাটা আইডি হাসপাতাল৷ যদিও হেনস্তার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতালগুলির কর্তৃপক্ষ৷ 

[ইডেন থেকে পাক ক্রিকেটারদের ছবি না সরালে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, এনারা দু’জনেই চেক প্রজাতন্ত্রে থাকেন৷ কলকাতায় এসেছেন রিসার্চের কাজে৷ সম্প্রতি প্রচণ্ড জ্বর ও মাথা ব্যথার সমস্যায় পড়েন৷ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেন তাঁরা৷ পরীক্ষায় তাঁদের সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়ে৷ এরপর কলম্বিয়া এশিয়ায় ভরতি হতে যান সৌমিত্র৷ অভিযোগ, সোয়াইন ফ্লু হয়েছে জানতে পেরে, তাঁকে ভরতি নিতে চায়নি ওই হাসপাতাল৷ বরং তাঁকে অন্যত্র রেফার করে দেওয়া হয়৷ একই অভিযোগে অ্যাপোলো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিয়াঙ্কাও৷ তিনি জানিয়েছেন, সোয়াইন ফ্লুয়ে আক্রান্ত জেনে তাঁকে ভরতি নিতে চায়নি অ্যাপোলো৷ এরপর তিনি যান বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে৷ এমনকী, সেখানেও তাঁকে ভরতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ৷

Advertisement

[ছেলে খেতে দেয় না, গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা বৃদ্ধ দম্পতির]

সবক্ষেত্রেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ৷ কলম্বিয়া এশিয়ার সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সোয়াইন ফ্লু পজিটিভ হলে আইসোলেশন ওয়ার্ড ও নেগেটিভ পেশার রুমে রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজন হয়৷ কিন্তু কলম্বিয়া এশিয়ায় সেই ব্যবস্থা না থাকায়৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের নথিভুক্ত হাসপাতালে সৌমিত্র বাবুকে রেফার করা হয়৷ হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি৷ একই ভাবে হেনস্তার অভিযোগ মানতে চায়নি অ্যাপোলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, বিয়াঙ্কা আউটডোরে আসেন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার বিষয়ে পরামর্শ নিতে৷ যা তাঁকে দেওয়া হয়৷ কিন্তু তিনি হয়রানির শিকার হননি৷ বিদেশিনীর অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও৷ আবারও শহরে বাড়ছে সোয়াইন ফ্লুয়ের প্রকোপ৷ শুক্রবারই পার্ক সার্কাসের এক নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় দশ মাসের এক শিশুর৷ ডেথ সার্টিফিকেটে সোয়াইন ফ্লুয়ের কথা উল্লেখ করেন চিকিৎসকেরা৷ সরকারি হিসাবে এখনও মৃতের সংখ্যা এক হলেও, বেসরকারি মতে সংখ্যাটা সাত৷ আক্রান্তের সংখ্যা ৩১০৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ