সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ধুন্ধুমার এসএসকেএম হাসপাতালে। তবে এবার চিকিৎসক নিগ্রহ নয়, শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে হাসপাতালের অন্দরে। অভিযোগ, দুই নাবালিকার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে হাসপাতালের ২ কর্মী। ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। ওই দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ১৩ আগস্ট ওই দুই নাবালিকা এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি হয়। তাদের মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। তারপর থেকে হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে তাদের। অস্ত্রোপচারও করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয় ওই দু’জনকে। তখনই ঘটনাটি ঘটে বলে খবর। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই কর্মী হাসপাতালের গ্রুপ ডি কর্মী। তাদের কাজ রোগীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া। এক্ষেত্রেও তারা নিজেদের কাজই করছিল। কিন্তু হঠাৎই নাবালিকাদের স্থানান্তরিত করার সময় তাদের বুকে মাথা রেখে সেলফি তোলেন হাসপাতালের অভিযুক্ত কর্মীরা। অসুস্থ থাকার কারণে দুই নাবালিকাই কিছু বলতে পারেনি। কিন্তু পরে ঘটনার কথা পরিবারকে জানায় তারা।
[ আরও পড়ুন: শোভনে মুগ্ধ দিলীপ, কলকাতায় ফিরলেই প্রাক্তন মেয়রকে সংবর্ধনার ঘোষণা রাজ্য সভাপতির ]
এরপরই দুই নাবালিকার পরিবারের তরফে দায়ের করা হয় অভিযোগ। ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে তারা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত দুই ব্যক্তির কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোবাইল ফোনটি। তবে পরবর্তী পদক্ষেপ প্রসঙ্গে কিছু জানায়নি পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এই ব্যাপারে কোনও কথা বলেনি।
তবে এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে হাসপাতালে কি আদৌ সুরক্ষিত রোগীরা? কিছুদিন আগেই এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনার আঁচ পড়েছিল এসএসকেএমেও। এখানেও ডাক্তার ও জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করেন। এবার সেই হাসপাতালেই মাসদুয়েকের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটল। রোগীর আত্মীয়রা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, হাসপাতালের ডাক্তাররা নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে ভাবছেন। ভাবা অযৌক্তিক যে তা বলা যায় না৷ কিন্তু সেই হাসপাতালেই যখন নাবালিকার সঙ্গে শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা ঘটছে, তখন কর্তৃপক্ষ চুপ কেন?