দীপঙ্কর মণ্ডল: ২০১৯-এর মাধ্যমিকে লাগাতার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন পত্র ছড়িয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। প্রশ্ন উঠেছিল পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে। চলতি বছরের মাধ্যমিকে যাতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই কারণেই পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে। এতেই প্রশ্নফাঁস এড়ানো সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনা নতুন নয়। তাই বরাবরই আটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নির্দেশ মেনে প্রশ্নফাঁস ও টুকলি রুখতে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির আশেপাশের জেরক্সের দোকানগুলিও নির্দিষ্ট সময় বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু একাধিক পদক্ষেপ সত্ত্বেও ২০১৯-এর মাধ্যমিকে লাগাতার প্রশ্নফাঁসে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল পর্ষদকে। প্রতিদিনই পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে প্রশ্নপত্র, সেই উত্তর খুঁজতে নাজেহাল হতে হয় পুলিশ-প্রশাসনকেও। সেই কারণেই এবছর প্রথম থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে পর্ষদ।
[আরও পড়ুন: বেলেঘাটা কাণ্ডে নয়া মোড়, মৃত শিশর বাবা-মায়ের DNA পরীক্ষার আবেদন মঞ্জুর শিয়ালদহ আদালতের]
পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন যে, পরীক্ষা শুরুর পর ১২ টা থেকে বেলা ২ টো পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নফাঁস রুখতে বিভিন্ন জেলার ৪২টি ব্লকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। এতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শকদেরও মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি-সহ একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮জন। ছাত্র ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৭৯ জন। ছাত্রী সংখ্যা ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯। গতবছর মাধ্যমিকে বসেছিল ১০ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫১৩ পড়ুয়া। অর্থাৎ ৩৩ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী কমেছে এবার।