Advertisement
Advertisement

Breaking News

সমুদ্রের জলস্তর বাড়বে ১০ গুণ দ্রুত, মহাপ্রলয়ের মুখে শহর কলকাতা

অশনি সংকেত মিলেছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে।

Kolkata may face massive flood due to globall warming
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 27, 2019 9:46 am
  • Updated:September 27, 2019 9:47 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অচিরেই মহাপ্রলয়ের মুখে পড়তে চলেছে শহর কলকাতা। এমনই অশনি সংকেত মিলেছে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য ১৯৫টি দেশ নিয়ে গঠিত আইপিসিসি-র (দ্য ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন চেঞ্জিং ক্লাইমেট) সাম্প্রতিক রিপোর্টে। যা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই উদ্বেগ-আশঙ্কার দোলাচলে ভুগতে শুরু করে দিয়েছেন অন্তত ১.৪ কোটি তিলোত্তমাবাসী।

কিন্তু কেন? কী এমন লেখা আছে ওই রিপোর্টে?

Advertisement

‘স্পেশাল রিপোর্ট অন দ্য ওশন অ্যান্ড ক্রায়োস্ফিয়ার ইন এ চেঞ্জিং ক্লাইমেট’ শীর্ষক আইপিসিসি-র এক বিস্ফোরক রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে যে হারে উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব বেড়েই চলেছে, তার ফল অদূর ভবিষ্যৎ হতে চলেছে ভয়ঙ্কর। কারণ আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী ২১০০ সালের মধ্যে দুনিয়াজুড়ে সমুদ্রের জলস্তর অন্তত দশ গুণ দ্রুত হারে বাড়বে। পাল্লা দিয়ে বাড়বে বরফের গলনও। কারণ রিপোর্ট অনুযায়ী কিছু হিমবাহ গলবে এক-তৃতীয়াংশ হারে। আর কিছু যাবে একেবারেই হাপিশ হয়ে। আর এভাবেই দূষণ সৃষ্টিকারী গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রাবল্যের জেরে প্রভাব২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের সিংহভাগ পাহাড়-পর্বত অন্তত ৮০ শতাংশ হিমবাহের স্তর হারিয়ে ফেলবে। অর্থাৎ ধেয়ে আসবে মহা-বিপদ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই মহাবিপদের রাডারে রয়েছে আমাদের দেশ, আমাদের শহরও।

Advertisement

আইপিসিসি—র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২১০০ সালের মধ্যে শহর কলকাতায় সমুদ্রের জলস্তর অন্তত এক মিটার বৃদ্ধি পাবে। তবে শুধু কলকাতা নয়। মুম্বই, সুরাত এবং চেন্নাই ছাড়াও বিশ্বের ৪৫টি উপকূলবর্তী এবং বন্দর শহরগুলিরও একই দশা হবে। ঘটনা হল, এই তালিকায় থাকা বেশিরভাগ শহর এতটাই নিচু জমিতে অবস্থিত যে, এখানে সমুদ্রের জলস্তরের উচ্চতা মাত্র ৫০ সেন্টিমিটার বাড়লেও বন্যা অবধারিত। আর তা হলে বিপদে পড়বেন ২৪ কোটি মানুষ। আবার রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা-চেন্নাইয়ে যা ঘটবে, তার একেবারে বিপরীত ছবি দেখা যাবে উত্তর ভারতের কিছু শহরে। সেখানে দেখা দেবে তীব্র জলসংকট।

রিপোর্টের ‘কো-অর্ডিনেটিং লিড অথর’ অঞ্জল প্রকাশের দাবি, দূষণ এবং উষ্ণায়নের প্রভাব এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে হিন্দুকুশ-হিমালয় পর্বতমালা এলাকায়। যেখানে তিয়েন শান, কুনলুন, পামির, হিন্দুকুশ, কারাকোরাম, হিমালয়, হেংদুয়ান, তিব্বতীয় মালভূমিকে ঘিরে বিস্তৃত হয়েছে দশটি প্রধান নদী অববাহিকা অঞ্চল। অঞ্জলের মতে, দেশজুড়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তবে গঙ্গা, সিন্ধু এবং ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় অবস্থিত নিচু এলাকাগুলিতে প্রায়শই বন্যা দেখা দেবে। আবার ২১০০ সালের মধ্যে আঞ্চলিক তাপমাত্রাও ৩.৫-৬ ডিগ্রি বাড়বে। আইপিসিসির রিপোর্ট বলছে, ২১০০ সালের মধ্যে সমুদ্রের জলস্তর অন্তত ৮৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পাবে। কমবে মাছ-সহ অন্যান্য জলজ প্রাণিসম্পদের ভাণ্ডার।

[আরও পড়ুন: চাঁদের কোন অংশে নেমেছিল ল্যান্ডার বিক্রম? ছবি পোস্ট করে নয়া তথ্য দিল নাসা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ