নব্যেন্দু হাজরা: ঠিক যেন সিনেমা! চলন্ত মেট্রোর সামনে বিদ্যা বালানকে ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টার ‘কাহিনী’ সিনেমার সেই বিখ্যাত দৃশ্যটা এখনও সকলের মনে গেঁথে রয়েছে। এবার বাস্তবেও যেন তেমন ঘটনা ঘটে গেল এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে! পিছন থেকে কারও ধাক্কায় লাইনে পড়লেন যাত্রী। কিছু বোঝার আগেই তাঁর পায়ের উপর দিয়ে চলে গেল মেট্রোর চাকা। যদিও যাত্রীর এহেন দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন যাত্রী।
বুধবার সন্ধেয় এসপ্ল্যানেডে ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’য় প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ব্যাহত হয়েছিল মেট্রো চলাচল। ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পড়ে যাওয়া ব্যক্তি রাজস্থান জয়পুরের বাসিন্দা। পুলিশ দাবি করেছে, ট্রেন ঢোকার আগে অন্য যাত্রীর ধাক্কা খেয়ে ওই ব্যক্তি লাইনে পড়ে গিয়েছিলেন। তার পায়ের উপর মেট্রো চলে যায়। মেট্রোর তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, লাইনে পড়ে যাওয়া ব্যক্তি ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তেমনই রিপোর্ট কন্ট্রোল থেকে দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই ব্যক্তি ঝাঁপ দিয়েছিলেন না পড়ে গিয়েছিলেন তা নিয়ে মেট্রো এবং পুলিশের তরফে দুই মত রয়েছে।
মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, বিকেল ৪টে ১৫ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয় মেট্রো পরিষেবা। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো যাত্রীরাও হতচকিত হয়ে যান। প্ল্যাটফর্মে তখন থিকথিকে ভিড়। ওই যাত্রীকে উদ্ধার করতে তৃতীয় লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় কর্তৃপক্ষ। গিরীশ পার্ক থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভোগান্তি হয় নিত্যযাত্রীদের। প্রায় আধ ঘণ্টা পর পরিষেবা চালু হলেও যাত্রী পরিষেবা স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কিছুক্ষণ লেগে যায়। পরের মেট্রোগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। তবে ঘটনা নিয়ে পুলিশ এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষের দু’রকম দাবিতে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রাকেশ কুমার বলেন, “বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ এক যুবক এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে ঝাঁপ দেন। তৃতীয় লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়। যার জেরে বেশ কিছুক্ষণ মেট্রো চলাচল ব্যাহত হয়।” তবে পুলিশ জানিয়েছে, কারও ধাক্কা খেয়ে ওই যুবক লাইনে পড়ে গিয়েছিলেন। ঝাঁপের ঘটনা ঘটেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.