সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোজভ্যালি কাণ্ডে এবার শুভ্রা কুণ্ডুর বিরুদ্ধে জারি লুকআউট নোটিস। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরটের (ইডি) অনুরোধে এই নোটিস জারি করেছে অভিবাসন দপ্তর। রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর সহধর্মিণী যাতে বিদেশ পালিয়ে যেতে না পারেন তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, ইডি আশঙ্কা করছে নীরব মোদি, বিজয় মালিয়ার মতো তদন্ত এড়াতে বিদেশ পালিয়ে যেতে পারেন শুভ্রা। তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আপাতত বিদেশ যেতে পারবেন না তিনি। এর আগেও তাঁর স্বামীর সংস্থাটির আর্থিক লেনদেন নিয়ে শুভ্রাকে একাধিকবার জেরা করেন তদন্তকারীরা। তবে সব থেকে বেশি জল্পনা ছড়ায় ২০১৭ সালে। রোজভ্যালি কাণ্ডে ইডি-র তৎকালীন তদন্তকারি অফিসার মনোজ কুমারের সঙ্গে একাধিকবার দিল্লির হোটেলে ও বিমানবন্দরে দেখা যায় শুভ্রা কুণ্ডুকে। শুধু তাই নয়, উত্তরপাড়ার বাড়ি, রাজারহাটের দামী ফ্ল্যাট-সহ অন্যান্য সম্পত্তিও পাওয়া যায় মনোজ কুমারের নামে। অভিযোগ ওঠে যে, তদন্তের গতিপথ প্রভাবিত করতেই মনোজ কুমারের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাৎ করেন শুভ্রা। রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রার সঙ্গে দিল্লি যাত্রার কারণ কী? জানতে চেয়ে জেরা করা হয় মনোজ কুমারকেও৷
এদিকে, চলতি বছরের শুরু থেকে রোজভ্যালি নিয়ে তদন্তে গতি বাড়িয়েছে ইডি। কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমার থেকে শুরু করে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে পাঠানো হয় সমন। তবে রাজীব কুমার সমন এড়িয়ে গেলেও, গত জুলাই মাসে হাজির দেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ। টানা ছয় ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। রোজভ্যালি সংস্থার সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেন এবং চুক্তি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই অভিনেতাকে। পাশাপাশি, গত অক্টোবর মাসে রোজভ্যালি কাণ্ডে দুঁদে পুলিশ অফিসার দময়ন্তী সেনকে তলব করে সিবিআই। তৎকালীন গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে চেয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেয় তদন্তকারী সংস্থাটি। সেসময় দময়ন্তী সেন রোজভ্যালি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সেবিকে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। সে কারণে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে তালিকায় প্রথমের দিকেই নাম তাঁর নাম রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: শুভ্রা কুণ্ডুর সঙ্গে মনোজের বিতর্কিত ফুটেজ নিয়ে তদন্তে ইডি]