Advertisement
Advertisement
Metro trial

২৫ বছর পর সুড়ঙ্গে মেট্রোর ট্রায়াল রান, সেক্টর ফাইভ থেকে যাত্রা শুরু জুনেই!

শুক্রবার দুপুরে ফুলবাগান থেকে ট্রেন ছুটল শিয়ালদহর দিকে।

Metro trial run from Phoolbagan to Sealdah gets nod
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:May 31, 2019 5:00 pm
  • Updated:June 1, 2019 5:13 pm

নব্যেন্দু হাজরা: দীর্ঘ ২৫ বছর পর সুড়ঙ্গে পরীক্ষামূলকভাবে চলল নয়া মেট্রো। শুক্রবার দুপুরে ফুলবাগান থেকে ট্রেন ছুটল শিয়ালদহর দিকে। তবে পুরোটা নয়। ১৩০০ মিটার যাওয়ার পরই ট্রেনের মুখ ঘুরিয়ে ফিরে এল ফুলবাগানে। ঐতিহাসিক এই ট্রায়াল রানের সাক্ষী রইলেন গুটিকয়েক আধিকারিক। কোনও সমস্যা হয়নি। তাই ঘণ্টাখানেকের মেট্রো সফরের পর তৃপ্তির হাসি কর্তাদের মুখে।

১৯৮৪ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করে কলকাতা মেট্রো। প্রথমে রুট ছিল এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (বর্তমানে নেতাজিভবন)। তারপর ১৯৯৪ সালে বেলগাছিয়া, শোভাবাজার স্টেশনগুলিকে সংযুক্ত করা হয়। তখনই হয়েছিল শেষ মাটির নিচে ট্রায়াল রান। আর ২৫ বছর পর হল এবার। মেট্রো সূত্রের খবর, মাটির উপরে যাত্রী নিয়ে ট্রেন ছুটতে দেখা যেতে পারে জুনের শেষেই। তবে ফুলবাগান পর্যন্ত এখনই নয়। কারণ স্টেশনের কাজ অনেক বাকি। তাই যাত্রী নিয়ে সুড়ঙ্গে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রবেশ করতে লেগে যেতে পারে সেপ্টেম্বর। আর শিয়ালদহ পর্যন্ত? কাজ শেষ হয়ে পরিষেবা শুরু হতে ২০২০-র শেষ। প্রথম দফায় মাটির উপরেই চলাচল করবে অত্যাধুনিক এই মেট্রো। সেক্টর ৫ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত নির্ধারিত রুটে হবে শুভসূচনা।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: বিদ্রোহের আঁচ বঙ্গ বিজেপিতে, মণিরুল ইস্যুতে অনুপমের নিশানায় দলের নেতারা ]

Advertisement

নতুন এই মেট্রোর প্রত্যেক কামরায় থাকছে সিসিটিভি। যার ফলে মেট্রোর কন্ট্রোলরুম থেকে সরাসরি মেট্রোর ভিতরে কী হচ্ছে তা দেখা যাবে। প্রতিবন্ধীদের ট্রেনে ওঠার জন্য থাকছে হুইল চেয়ার। এখনকার মেট্রোয় এই ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া আত্মহত্যা রুখতে এবং যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে থাকছে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর। মাটির উপরের স্টেশনের জন্য থাকছে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন গেট। আর সুড়ঙ্গের ভিতরের স্টেশনের জন্য স্ক্রিন ডোর। যাত্রীসংখ্যা দেখে তবেই ঠিক হবে কত মিনিট অন্তর ট্রেন চালাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। দেড় মিনিট অন্তর চালকহীন রেক চালানো গেলেও এখনই অত কম সময়ে তা চলবে না। ন্যূনতম চার মিনিটের ব্যবধান রাখা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, নয়া এই পরিষেবা শুরু হবে কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোল সিস্টেমের মাধ্যমে। যার ফলে দুটি ট্রেনের মধ্যে দূরত্ব কম থাকবে। চালকরা নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন। ফলে ট্রেন লেট কম হবে।

মেট্রোর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, নয়া এই রেকে থাকবে পুশ অ্যান্ড টক সিস্টেম। ফলে ট্রেনের কামরায় কোনও ঘটনা ঘটলে যাত্রীরা এই মাধ্যম ব্যবহার করে চালককে সজাগ করতে পারবেন। চালকও প্রয়োজনে তা কন্ট্রোলে জানিয়ে দেবেন। এই রেকের একেকটি কোচে যাত্রী বসতে পারবেন ৪৩ জন এবং দাঁড়াতে পারবেন ৩৫৪ জন। প্রথম এবং অন্তিম কোচে বসতে পারবেন ৫০ জন দাঁড়াতে পারবেন ৩২৩ জন করে। অত্যাধুনিক এই রেকে যাত্রীদের ওঠানামার জন্য দরজার মাপ বর্তমান মেট্রোর তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। দাঁড়ানোর জন্যও অনেকটা জায়গা থাকছে নতুন রেকে।

[ আরও পড়ুন: ফলাফল পর্যালোচনায় কোর কমিটির বৈঠক তৃণমূলের,বাড়ছে রদবদলের সম্ভাবনা ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ