Advertisement
Advertisement
Election commission

কোভিড বিধির গেরো, বাংলায় নির্বাচনী বুথ বাড়ছে অনেকটাই, জানাল কমিশন

সমস্ত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকবে একতলায়, নির্দেশ কমিশনের।

More than 22 thousand polling booths will be increased in West Bengal due to COVID-19 norms |SangbadPratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 22, 2021 10:10 pm
  • Updated:January 22, 2021 10:10 pm

শুভঙ্কর বসু: কোভিড (COVID-19) বিধির গেরোয় বিহারের মতো বাংলার বিধানসভা নির্বাচনেও বুথের সংখ্যা যে বাড়ছে, তার আঁচ ছিল আগেই। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের (Election commission) ফুল বেঞ্চ রাজ্য ছাড়ার আগে সাংবাদিক বৈঠক করে সেই হিসেব দিলেন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়েছেন, যে সব বুথে হাজারের বেশি ভোটার, তাকে একাধিক বুথে ভাঙা হচ্ছে। আর তা নিয়ে বাড়তি বুথের সংখ্যা দাঁড়াল ২২, ৮৮৭। ফলে যেখানে বিধানসভা ভোটে রাজ্যে ৭৮ হাজার ন’শোর সামান্য বেশি বুথ থাকে, সেখানে এবার বুথ সংখ্যা দাঁড়াবে ১ লক্ষের বেশি। অঙ্কের হিসেব করলে ১ লক্ষ ১হাজার ৯০টি।

শুক্রবার, ২ দিনের রাজ্য সফর শেষে বেলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সেখানেই বেশ কয়েকটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। বুথ সংখ্যার হিসেব দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়েছেন, বয়স্ক মানুষজনের কথা ভেবে সমস্ত বুথ যেন একতলায় হয়। দোতলা কিংবা তিনতলায় ভোট দিতে এবার আর যেতে হবে না কাউকে। এছাড়া বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে, তার পূর্ণ নজরদারির দায়িত্ব থাকে দিল্লির কমিশন অফিসের। কোভিড বিধি মেনে ভোটের প্রশিক্ষণের ধরনও এবার পালটাচ্ছে। একসঙ্গে ৫০ জনের বেশি ভোটকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার কীভাবে? বাংলায় এসে ক্লাস নেবেন শাহ]

এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি নিয়ম বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, মহিলা পরিচালিত বুথে আরও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, নজরদারি চালানো। রাজনৈতিক সভা, মিছিলের ক্ষেত্রে আগে আবেদনের ভিত্তিতে কর্মসূচির অনুমোদন দিতে হবে। কোনও বিশেষ রাজনৈতিক প্রার্থীকে গুরুত্ব নয়। এছাড়া রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে প্রতিটি জেলাশাসককে অনেক কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতি মাসে জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই গোটা পরিস্থিতির উপর দিল্লি থেকে নজরদারি চালাবে কমিশন। ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনও স্তরে যেবন সমন্বয়ের অভাব না ঘটে, তাও কঠোরভাবে দেখতে হবে নির্বাচনী আধিকারিকদের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভাড়াবৃদ্ধির দাবি, বাসের সঙ্গেই চলতি মাসের শেষে ৩ দিন ধর্মঘটে শামিল ট্যাক্সি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ