Advertisement
Advertisement

Breaking News

Narada case

নারদ মামলা কি ভিনরাজ্যে সরছে? ফয়সালা করতে আজ হাই কোর্টে শুনানি

শুনানি ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে।

Narada case: Hearing at larger bench of Calcutta HC regarding shifting of the case elsewhere | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 31, 2021 8:55 am
  • Updated:May 31, 2021 12:50 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টেই নারদ মামলার (Narada case) শুনানি চলবে নাকি ভিন রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হবে মামলা? এই ফয়সালা করতে আজ, সোমবার শুনানি হবে উচ্চ আদালতে। সূত্রের খবর, নারদ শুনানির জন্য তৈরি ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে সিবিআইয়ের দায়ের করা এই আবেদন নিয়ে সওয়াল-জবাব শুরু হবে বেলা এগারোটা থেকে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে মামলা ভিনরাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যেতে চায় সিবিআই। আজ তাদের সেই আবেদন শুনবেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) ৫ বিচারপতি। সিবিআইয়ের হয়ে সওয়াল করবেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। অভিযুক্তদের হয়ে লড়ছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।

গত শুক্রবার, ২৮ মে, কলকাতা হাই কোর্টে বৃহত্তর বেঞ্চের রায়ে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতো চার হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী। বেশ কয়েকটি শর্তে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেছে ৫ বিচারপতির বেঞ্চ। ২ লক্ষ টাকা করে ব্যক্তিগত বন্ড, বিচারাধীন মামলা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খোলার মতো কয়েকটি শর্ত রয়েছে। আপাতত চারজনই বাড়িতে। ফলে জামিন মামলার নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে। এখন এই মামলা ভিনরাজ্যে স্থানান্তর নিয়ে সিবিআইয়ের (CBI) আরেকটি আবেদন ছিল, তার শুনানি আজ। নিজেদের পক্ষে যুক্তি সাজিয়ে তৈরি বাদী-বিবাদী দু’পক্ষই। বেলা ১১ টা থেকে শুরু হবে সওয়াল-জবাব। শুনবেন কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রদান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিচারপতি সৌমেন সেন, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এটিএম না ভেঙেই কীভাবে লক্ষাধিক টাকা চুরি জালিয়াতদের? ফাঁস রহস্য]

গত ২২ মে, সোমবার নারদ মামলায় সিবিআই আধিকারিকরা চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় সদর দপ্তর নিজাম প্যালেসে। তাঁদের মুক্তি দেওয়ার দাবি তুলে করোনা বিধি ভেঙেই নিজাম প্যালেসের সামনে জমায়েত হন তৃণমূলের বহু কর্মী-সমর্থক। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে সিবিআই দপ্তরে গিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে প্রায় ৬ ঘণ্টা ছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে দপ্তরের বাইরে ভিড় এত বাড়তে থাকে যে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করে সেই ভিড় সামলাতে হয়। এই ঘটনাকে খুব একটা ভাল চোখে দেখেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের মনে হয়েছে, জনপ্রিয় নেতাদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে চাপ তৈরি করছে দল। সিবিআই আধিকারিকদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছবি এঁকে বুঝিয়েছিল শ্বাসকষ্টের কথা, অবশেষে করোনাজয়ী বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন সৌম্যদীপ]

এই পরিস্থিতিতে এ রাজ্যে মামলাটি চললে, তা যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ হবে, নিরপেক্ষতা বজায় নাও থাকতে পারে। তাই হাই কোর্টে মামলা দায়েরের সময়ে নারদ শুনানি অন্যত্র স্থানান্তরের আবেদনটি যুক্ত করে সিবিআই। সেক্ষেত্রে ভুবনেশ্বর বা গুয়াহাটির নাম উল্লেখ করা হয়। আজ এই ফয়সালাই হতে চলেছে উচ্চ আদালতে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ