সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নারদ কাণ্ডে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ে-সহ চারজনকে নোটিস পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ইডি)। ৬ থেকে ১৭ জুনের মধ্যে তাঁদের ইডির দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: শপথ নেওয়ার পরের দিনই শুরু কাজ, বাজেটের দিন ঘোষণা করলেন মোদি]
সূত্রের খবর, নারদ কেলেঙ্কারি মামলায় এর এগেও রত্নাকে তলব করেছিল ইডি। তবে তদন্তের স্বার্থে এবার ফের তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে, এদিন পশ্চিমবঙ্গের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডেকেও তলব করেছে ইডি। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারী সংস্থাটির তলব করেছে রত্না ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় ও মলয় ভট্টাচার্যকেও। উল্লেখ্য, নারদার টাকা শোভনবাবুর কাছ থেকে কীভাবে হস্তান্তর হয়েছে, সেই নিয়েই দ্বিধায় পড়েছেন ইডির আধিকারিকরা। টাকা কি শোভনবাবু নিজের কাছে রাখেন, না রত্না দেবীকে দেন? নাকি সম্পূর্ণ অন্য কারও কাছে যায় ওই টাকা? সূত্রের খবর, এর আগে রত্না দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে এসেছিল শ্রেয়ার নাম।
প্রসঙ্গত, ইডি আগেই জানিয়েছিল, নারদ তদন্ত করতে গিয়ে প্রাক্তন মেয়র ও মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বর্তমানে বিচ্ছিন্ন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছিল তদন্তকারিদের। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল শোভনবাবুর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। এদিকে, নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করে রত্না দেবী জানিয়েছেন, তাঁর কাছে দু’টি তথ্য চেয়েছে ইডি। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন। শ্রেয়া পাণ্ডে জানিয়েছেন, তিনি বিদেশে রয়েছেন, ইডির তলবের বিষয়ে কিছুই জানেন না। বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল ফেলা নারদ কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতার। ইডির পাশাপাশি এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআইও। মামলায় নাম জড়ায় রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বিজেপি নেতা মুকুল রায়- সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতাদের।