Advertisement
Advertisement
Organ transplant

এবার থানাতেই মিলবে অঙ্গ অথবা দেহদানের ফর্ম, বৈঠকে সিদ্ধান্ত Kolkata Police-এর

বাংলায় অঙ্গদান প্রক্রিয়ায় জোয়ার আনাই মূল লক্ষ্য।

Now organ transplant application will available at police stations । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 29, 2021 11:02 am
  • Updated:July 29, 2021 11:02 am

অর্ণব আইচ ও অভিরূপ দাস: অঙ্গদান করতে চান। নিয়ম জানেন না। বুঝতে পারছেন না কোথায় যাবেন? এবার মুশকিল আসান। স্থানীয় থানাতেই মিলবে অঙ্গদান অথবা দেহদানের ফর্ম। ইচ্ছুক পরিবারকে সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝিয়ে দেবেন থানার বড়বাবু। নয়া এই পদক্ষেপের লক্ষ্য একটাই। বাংলায় অঙ্গদান প্রক্রিয়ায় জোয়ার আনা। চিকিৎসকরা বারবারই বলছেন, মৃত্যুর পর আগুনে ছাই হয়ে যাওয়ার চেয়ে শরীরের অঙ্গগুলি দান করে দেওয়া জরুরি। যাতে বাঁচতে পারে অগুনতি প্রাণ। পুলিশ দপ্তরেও ছড়িয়ে পড়ুক এই সচেতনতা। বুধবার সেই লক্ষ্যেই উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। অনলাইন যে বৈঠকে হাজির ছিলেন কলকাতার অধিকাংশ থানার পুলিশ কর্মীরা। বৈঠকের মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। উপস্থিত ছিলেন রিজিওনাল টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশন বা রোটোর অধিকর্তা ডা. মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সহ অধিকর্তা ডা. অর্পিতা রায়চৌধুরী।

মৃত্যুর পর অঙ্গদান করতে চাইলে সই করতে হয় সম্মতিপত্রে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন রোটোর ছাড়পত্রর। বৈঠকে কি আলোচনা হল? মানবজীবন পার করে দেহ শেষ হয় চিতায় বা কবরে, এমন ভাবেই কি একেবারে ফুরিয়ে যাওয়ার কথা তার? নিজের অঙ্গ দিয়ে ফের জ্বেলে যাওয়া যায় আলো। কোনও মুমূর্ষু দেহকে যা দিতে পারে নতুন প্রাণ। পুলিশের নিচুতলার কর্মচারীদের এদিন অঙ্গদান সম্পর্কে সচেতন করা হয়। বৈঠকে আলোচনা চলাকালীন দেখা যায় অঙ্গদানে অনিচ্ছুক না হলেও অন্ধকারে বহু পুলিশ কর্মচারী। কিভাবে আবেদন করতে হয়? কোথায় ফর্ম ফিলাপ করতে হয়? তা নিয়েই অগুনতি প্রশ্ন নিচুতলার পুলিশ কর্তাদের মনে। সমস্ত প্রশ্নের নিরসন করেন রোটোর কর্তারা। সেখানেই পুলিশ কর্মচারীরা জানান, অগুনতি সাধারণ মানুষ থানায় আসে। জিজ্ঞেস করে, দেহ দিতে চাই। তার প্রক্রিয়া কি? এর সুরাহা করতেই এবার থেকে থানাতেও অঙ্গদান, দেহদানের ফর্ম রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কুয়ো খুঁড়তে গিয়ে মিলল বিশালাকার নীলা! দাম শুনলে আঁতকে উঠবেন]

অঙ্গদানের কিছু ব্যাকরণ রয়েছে। শুধুমাত্র হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হলেই হবে না, ব্রেন ডেথ হলে তবেই শরীর থেকে অঙ্গ সংগ্রহ করা সম্ভব। এমতাবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা শরীর থেকে খুলে অন্যের শরীরে বসাতে হয়। সেই সময় পেরিয়ে গেলে আর কাজ করে না ওই অঙ্গ। হৃৎপিণ্ড কিংবা ফুসফুসের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা ৬ ঘন্টা। এই সময়সীমাকে মান্যতা দিতেই গ্রিন করিডর। রাস্তার যানজটে নষ্ট হয় সময়। সমস্ত সিগনাল গ্রিন রেখে দ্রুত অঙ্গ নিয়ে পৌঁছাতে হবে গন্তব্যে। এদিন রোটোর পক্ষ থেকে পুলিশ কর্মচারীদের বোঝানো হয় গ্রিন করিডরের প্রয়োজনীয়তা। প্রতি বছর ১৩ আগস্ট বাংলা তথা দেশজুড়ে পালিত হয় অঙ্গদান দিবস। তার আগে বুধবারের এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা। শুধু মৃত ব্যক্তিই নন, একজন জীবিত মানুষও নিজের দু’টি কিডনি থেকে একটি, অথবা লিভারের কিছুটা অংশ দান করতে পারেন। সে সম্বন্ধেও সচেতন করা হয় পুলিশ কর্মীদের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কবে থেকে ‘উৎসশ্রী’ পোর্টালে শিক্ষকদের বদলির আবেদন? জানিয়ে দিল স্কুলশিক্ষা দপ্তর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ