ক্ষীরোদদীপ্তি ভট্টাচার্য: কংগ্রেস বলছে তৃণমূল বা বিজেপির বিরুদ্ধে একের বিরুদ্ধে এক- এই নীতিতে প্রার্থী দিতে হবে। ঘটনা হল, ঘুরিয়ে সেই নীতিকেই সমর্থন করল সিপিএম। তবে এই নিয়ে আপত্তি রয়েছে শরিক দলের মধ্যে। আপত্তি রয়েছে এসইউসি বা নকশালপন্থীদের মধ্যেও।
সোমবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, “যেখানে বাম প্রার্থী পাওয়া যাবে না সেখানে ফ্রন্টের বাইরে থাকা বাম প্রার্থীদের সমর্থন করতে হবে। তাও না পাওয়া গেলে তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করতে হবে। তবে বিমান বসুর এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে নকশালপন্থী সিপিআই (এমএল) লিবারেশন ও এসইউসি। লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ সাফ জানিয়েছেন, ‘‘বামেদের এতটা খারাপ সময় নয় যে পঞ্চায়েতে বাম প্রার্থী পাওয়া যাবে না।” তাঁর কথায়, সিপিএম বা অন্য বাম দলের মতো আজ নকশালপন্থী প্রার্থীদেরও মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে মারধর করা হয়েছে। যদিও সিপিএম বা বামদলগুলির সঙ্গে তাঁদের এখনও আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
[ডেন্টাল কলেজের লেডিজ হস্টেলে ২ ছাত্রের সঙ্গে ‘ফূর্তি’, বহিষ্কৃত ৪ ছাত্রী]
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শেষ পর্যায়ে ফ্রন্টের বাইরে থাকা বাম দলগুলির সঙ্গে এই মতপার্থক্যর জেরেই জোট ভেস্তে যায়। এদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র পালটা প্রতিরোধের ডাক দিয়ে বলেছেন, “প্রথম রাতেই বিড়াল মারতে না পারলে গৃহস্থের পাতে কিছুই পড়বে না।” এদিন বিমান বসু যদিও পালটা প্রতিরোধ করা থেকে বিরত থেকেছেন। তবে বিভিন্ন জায়গায় বাম প্রার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অসহিষ্ণুতার ঘটনার বিরোধিতা করে আগামী রবিবার অধ্যাপক, কবি, বুদ্ধিজীবীরা কলকাতায় মিছিল করবেন। বিমান বসু বলেছেন, বাম নেতারা দলীয় পতাকা ছাড়াই সেই মিছিলে অংশ নেবেন। মিছিলের শুরুতে থাকবেন বুদ্ধিজীবীরা। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এই মিছিলকে সমর্থন করেছেন বলে বিমানবাবু এদিন জানান।