Advertisement
Advertisement
Maitree Express

চুরি না ষড়যন্ত্র? মৈত্রী, রাজধানী এক্সপ্রেসের যন্ত্রাংশ খোয়া যাওয়ায় প্রশ্ন রেলেরই একাংশের

সপ্তাহখানেক আগে দুই ট্রেনেরই গুরুত্বপূর্ণ পাওয়ার কারের কিছু সামগ্রী খোয়া গিয়েছিল।

Parts of Maitri Express lost, Indian Rail wonders whether theft or conspiracy | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 3, 2022 12:21 pm
  • Updated:June 3, 2022 12:21 pm

সুব্রত বিশ্বাস: চুরি না ষড়যন্ত্র? ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেস (Maitree Express) চালুর আগের দিনই ট্রেনটির পাওয়ার কার থেকে একাধিক সামগ্রী চুরি যাওয়ার ঘটনায় এই প্রশ্নই উঠেছে। গত ২৯ মে মৈত্রী এক্সপ্রেসের বেশ কিছু কনটাক্ট। খুব বেশি দামি সামগ্রী না হলেও এর অভাবে জেনারেটর চালানো অসম্ভব। ফলে ট্রেন চালানোতে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তড়িঘড়ি সেই সরঞ্জাম জোগাড় করে চালানো হয় ট্রেনটি।

করোনার জেরে দু’বছর পর ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন ফের চালুর আগের দিন চিৎপুর ইয়ার্ডে (Chitpur) এই চুরিতে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এর কয়েক দিন আগে শিয়ালদহ (Sealdah) ইয়ার্ড থেকে একইভাবে রাজাধানী এক্সপ্রেসের পাওয়ার কার থেকে চুরি যায় বেশ কিছু কনটাক্ট। একই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পাশাপাশি আরপিএফ ও মেকানিক্যাল বিভাগ চুরির তদন্ত শুরুর পর প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়েছে। তবে কোনওরকম কিনারা করতে পারেনি আরপিএফ। তদন্তর মধ্যেই আরপিএফ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে, চুরি, না ষড়যন্ত্র? সাধারণ মানের চোরের পক্ষে এই কনটাক্ট চুরি করা সম্ভব নয় বলে মনে। পাওয়ার কারের কারিগরি বিষয় না জানলে এই সামগ্রী খোলা সম্ভব নয়। জেনারেটর ঠিকা সংস্থার কর্মী ও মেকানিক্যাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে আরপিএফ বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আগামী বছর মাধ্যমিক শুরু ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে, দেখে নিন ২০২৩-এর পরীক্ষাসূচি]

যদিও বিষয়টি চুরি বলে স্পষ্ট করেছে রেল ডিভিশন। শিয়ালদহের ডিআরএম (DRM) এসপি সিং বলেন, এই কনটাক্টগুলি চুরি গিয়েছে। খুব দামি না হলেও প্রয়োজনীয়। মদ, গাঁজাখোরদের মতো ছিঁচকে চোরদের কাজ এটা। অবিলম্বে বিষয়টির ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কারশেডে যেখানে কোচ রক্ষণাবেক্ষণ হয় সেখানে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে সন্দেহ রেলের। গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের এই সামগ্রী চুরির ঘটনায় সুরক্ষায় গাফিলতির প্রশ্ন উঠে এল।

Advertisement

বেশ কয়েক মাস আগে টালা ব্রিজের নির্মাণের সামগ্রী রেল চত্বর থেকে চুরি যাওয়ার সময় বাধা দেয় আরপিএসএফ জওয়ান। দুষ্কৃতী তাঁকে ছুরি মেরে চম্পট দেয়। ইয়ার্ড চত্বরে কিভাবে এই দুষ্কৃতী ও নেশাখোরদের অবাধ বিচরণের জায়গা হয়ে ওঠে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ট্রেনে অবাধে মদ পাচার হচ্ছে। মাঝে মধ্যে হাওড়া স্টেশনে কিছু আরপিএফ আটক করলেও অন্য জায়গায় বা ট্রেনে পাচারে বাধা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার মির্জাপুর থেকে ট্রেনে চোলাই পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। যাত্রীরা প্রতিবাদ করলে ট্রেনে থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে সম্প্রতি রেলের টুইটে যাত্রীরা অভিযোগ তোলেন। ট্রেনের সিটের তলায় ড্রাম, ব্লাডারে চোলাই নিয়ে যাওয়া হয়, কামারকুণ্ডু, গুড়াপ, বৈঁচিগ্রাম, শক্তিগড়, বেগমপুর-সহ একাধিক স্টেশনে।

[আরও পড়ুন: প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফলাফল, যুগ্মভাবে প্রথম বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমানের দুই ছাত্র]

ভোর ও রাতের ট্রেনে মূলত পাচার হয়। আরপিএফ (RPF) , জিআরপি সব জানা সত্বেও পাচার বন্ধ হয়ে না বলে যাত্রীদের অভিযোগ। দুই প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন অফিসাররা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। কার্যত কড়া পদক্ষেপের অভাবে রেল চত্বরে অপরাধ বাড়ছে বলে রেল কর্তাদের ধারণা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ