Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফুলবাগান

খুনের অস্ত্র কিনতে মুঙ্গের গিয়েছিল অমিত, ফুলবাগান কাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

তদন্তকারীদের হাতে এসেছে শিল্পী-অমিতের বচসার একটি অডিও ক্লিপ।

Phoolbagan murder case: Investigation underway
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 26, 2020 9:51 am
  • Updated:June 26, 2020 9:56 am

অর্ণব আইচ: পিস্তল কিনতে মুঙ্গের গিয়েছিল ফুলবাগান কাণ্ডে (Phoolbagan) অভিযুক্ত অমিত আগরওয়াল। এরপর সেই অস্ত্র হাতে পেয়ে সন্তর্পনে তা লুকিয়ে ফেলেছিল শ্বশুরের কেনা মানিকতলার ফ্ল্যাটে। তদন্তে প্রকাশ্যে এসেছে এমনই তথ্য। তদন্তকারীদের হাতে এসেছে শিল্পী ও অমিতের বচসার একটি অডিও ক্লিপ। যা খুনের রহস্যভেদে সহযোগিতা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউনের (Lockdown) আগে অন্তত তিনবার মানিকতলার ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন অমিত আগরওয়াল। তার মধ্যেই একবার রেখে আসেন মুঙ্গেরি পিস্তলটি। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের খুন করতে বিহারের কোনও অস্ত্র পাচারকারীর কাছ থেকে সেভেন এমএম পিস্তলটি কিনেছিলেন কি না, তা জানার চেষ্টা করছে লালবাজার। জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে স্ত্রী শিল্পী ও কলকাতায় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের খুনের ছক কষেই বিহারে যায় অমিত। পাটনা ও মজফফরপুরের কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের মধ্যে অস্ত্র বিক্রেতা বা দালাল ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। যদিও অস্ত্রটি সরাসরি বিহার থেকে অমিত কলকাতায় নিয়ে আসে, না কি কলকাতার কোনও এজেন্টের মাধ্যমে সেটি জোগাড় করে তা জানতে তদন্ত চলছে। এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পুলিশ অমিতের কললিস্ট পরীক্ষা করছে। অমিত কবে এই অস্ত্র জোগাড় করে শ্বশুরের দায়িত্বে থাকা মানিকতলা মেন রোডের ফ্ল্যাটে রেখে এসেছিল, তা নিয়ে কিছুটা ধন্দে পুলিশ। অমিতের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে তিনি তিনবার মানিকতলার ফ্ল্যাটে এসেছিল। কিন্তু আবাসনের কোনও বাসিন্দাকে তা জানাতে চায়নি। তার মধ্যেই অমিত পিস্তল জোগাড় করে বলে ধারণা পুলিশের।

Advertisement

[আরও পড়ুন:আমফানে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ, জুতো-ঝাঁটা নিয়ে অভিযুক্তের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ মহিলাদের]

মানিকতলার ওই আবাসনের সম্পাদক পুলিশকে জানিয়েছেন, গত বছরের ৩১ আগস্ট অমিত তাঁদের সঙ্গে এসে দেখা করে রক্ষণাবেক্ষণের টাকা মেটায়। এরপর তাঁরা অমিতকে আর দেখেননি। যদিও কেয়ারটেকার উদয় মালি জানিয়েছেন, ছ’ মাস আগে অমিতকে তিনি আসতে দেখেছেন। পুলিশের মতে, জানুয়ারি নাগাদ অমিত ফ্ল্যাটে এসে রেইকি করে। কেউ যে সেখানে আসেননি, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই ফেব্রুয়ারিতে অস্ত্রটি রেখে যায়। এরপর সেটি ঠিকমতো রয়েছে কি না তা দেখতে একবার ফ্ল্যাটে গিয়েছিল অমিত। একজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। কীভাবে অস্ত্র পাচারকারীর সঙ্গে অমিতের যোগাযোগ হল, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন:এলাকায় একাধিক করোনা আক্রান্তের হদিশ, আতঙ্কে তারকেশ্বর মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত বাতিল কমিটির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ