সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় আদালত অবমাননা থেকে রেহাই পেলেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান ও সচিব। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা অবশ্য বলেছেন, এসএসসি-র নিয়মেই ধোঁয়াশা আছে। মামলাকারী চাইলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন।
[ অগ্নিকাণ্ড থেকে শিক্ষা, মেট্রোর টানেলে বসছে সিসিটিভি]
এ রাজ্যে নবম ও দশম শ্রেণিতে ১২ হাজার ৯০৫টি শিক্ষকপদ শূন্য। শেষবার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল ২০১২ সালে। তখন পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সরকারি স্কুলে একইসঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ হত। আলাদাভাবে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হওয়ার পর, ২০১৬ সালে সফল কর্মপ্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল এসএসসি। জারি হয়ে গিয়েছিল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও। কিন্তু, আইনি জটিলতায় শেষপর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়। এখন আর স্থগিতাদেশ বহাল নেই, অথচ নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকাও প্রকাশ হয়নি। ফলে প্রায় ১ লক্ষ ৪৩ হাজার কর্মপ্রার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চিত। এসএসসি-র বিরুদ্ধে আদালত আবমাননার অভিযোগে হাই কোর্টে মামলা করেছেন এক কর্মপ্রার্থী। সোমবার মামলার শুনানিতে সশরীরে হাই কোর্টে হাজির হয়েছিলেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান ও সচিব। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা হলফনামা আকারে পেশ করার নির্দেশ দেন হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। নির্দেশ কার্যকর না হলে এসএসসি-র সচিব ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন।
মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি মান্থাকে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকাটি দেখান এসএসসি-র আইনজীবী। এমনকী, মামলাকারীর নাম মেধাতালিকার যে অংশে রয়েছে, সেই অংশটিও আদালতে পেশ করা হয়। মেধাতালিকা দেখে সন্তোষপ্রকাশ করেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আদালত আবমাননা থেকে রেহাই পান এসএসসি-র চেয়ারম্যান ও সচিব।
[ বায়োপসি না করেই ‘ক্যানসার’ নির্ণয়, ফের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.