সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলাদের সতীত্ব নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য। অধ্যাপক কনক সরকারকে বরখাস্তের দাবিতে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার ক্লাস বয়কট করে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিছিল করলেন ছাত্রীরা। এদিকে অধ্যাপক কনক সরকারের বিরুদ্ধে আবার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আইনি পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[অনুশীলন চলাকালীন শহরে তরুণ ক্রিকেটারের মৃত্যু]
রাজ্যের প্রথমসারির একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেন তিনি। কিন্তু একাধিকবার মহিলাদের নিয়ে কদর্য মন্তব্য করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কনক সরকার। গত ৯ নভেম্বর ফেসবুকে মহিলাদের সতীত্ব নিয়ে ফের অত্যন্ত কুরুচিকর ভাষায় মন্তব্য করেন তিনি। একজন অধ্যাপকের এমন মন্তব্যে নিন্দার ঝড় ওঠেছে নেটদুনিয়ায়। কনক সরকারকে অবিলম্বে বরখাস্তের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনা অপ্রত্যাশিত। অধ্যাপক কনক সরকারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার বৈঠকে বসছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছে জাতীয় মহিলার কমিশনও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গেও কমিশনের সদস্যরা কথা বলতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।
কিন্তু, ফেসবুকে মহিলাদের সতীত্ব নিয়ে কী মন্তব্য করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কনক সরকার? ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আজকালকার ছেলেরাই বোকাই রয়ে গেল। তারা জানেই না, ভার্জিন মেয়েদের বিয়ে করার কত সুবিধা। একজন ভার্জিন মেয়ে অনেকটা সিলড বোতল বা সিলড প্যাকেটের মতো। আপনি কি টাকা দিয়ে সিলভাঙা কোল্ড ড্রিংকের বোতল কিনবেন? নিশ্চয়ই খোলা বিস্কুটের প্যাকেট কিনবেন না। একটি মেয়ে সতীত্ব নিয়েই জন্মগ্রহণ করে। যতদিন তার সতীত্ব নষ্ট না হয়, ততদিনই সে পবিত্র থাকে। সেই সঙ্গে অনেক গুণ থাকে তার। যৌন স্বাস্থ্যের নিরিখে কুমারী মেয়ে বিয়ে করাই ভাল।’ পোস্টটি রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিকে চাপের মুখে পড়ে মহিলাদের সতীত্ব নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অধ্যাপক কনক সরকার। এমনকী, সোশ্যাল মিডিয়ায় আর থাকবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
[ সিন্দুক খুলতে না পেরে দোকানে প্রস্রাব ‘ব্যর্থ’ চোরের]