Advertisement
Advertisement
Suvendu Adhikari

নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলকে যারা টাকা দিয়েছে সবাই চোর, কটাক্ষ শুভেন্দুর, পালটা কুণালের

তৃণমূলের উন্নতিতে গাত্রদাহ হচ্ছে শুভেন্দুর, পালটা তৃণমূলের।

Suvendu Adhikari questions TMC's increase in Electoral Bond | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 10, 2023 4:00 pm
  • Updated:January 10, 2023 4:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বচ্ছ উপায়ে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে চাঁদা তোলা নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, শুধুমাত্র দুর্নীতিগ্রস্তরাই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে চাঁদা দিয়েছে তৃণমূলকে। যারা শাসকদলকে চাঁদা দিয়েছে, তারা সবাই নাকি চোর। পালটা এসেছে তৃণমূল শিবির থেকে। শাসকদলের বক্তব্য, স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যই নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। গাত্রদাহ থেকেই এসব বলছেন শুভেন্দু।

আসলে সদ্যই ২০২০-২২ অর্থবর্ষের আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ইলেক্টরাল বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের রোজগার হয়েছে ৫২৮ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। ঠিক আগের বছর অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তৃণমূলের (TMC) তহবিলে প্রায় ৪২ কোটি টাকা এসেছিল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে। অর্থাৎ এক বছরে নির্বাচনী বন্ডে এরাজ্যের শাসকদলের রোজগার বাড়ে গিয়েছে ১২ গুণ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘হিন্দুদের এত ঘৃণা কেন?’ গঙ্গা আরতিতে পুলিশের অনুমতি না মেলায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা BJP’র]

শুভেন্দু এদিন তৃণমূলের এই রেকর্ড আয়বৃদ্ধি নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘একটা দল নির্বাচনী বন্ডে ১২০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি করেছে। কোন কোন ব্যবসায়ী দিলো, কোন কোন শিল্পপতি দিলো, ওদের আয়করে (Income Tax) দেখাতে হবে। ২০২১ সালে যেখানে মাত্র ৪২ কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তুলতে পেরেছিল তৃণমূল সেখানে কোন যাদুবলে এবছর ৫২৮ কোটি টাকা তুলল?” বিরোধী দলনেতার দাবি, “যারা তৃণমূলকে (TMC) টাকা দিয়েছে তাদের সবার তালিকা তাঁর কাছে রয়েছে। সবাই চোর। তিনি বলছেন, যারা টাকা দিয়েছে তাদের তালিকা দিয়ে দেব। সব চোর। বালির খাদান যারা পেয়েছে, পাথরের খাদান যারা চালায়, বেআইনি কাজ যারা করে, যারা কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা মিশনের টাকা খায়, স্কুলে ব্যাগ, জুতো, ইউনিফর্ম যারা সরবরাহ করে তারা সব টাকা দিয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: IS জঙ্গিদের জেরায় হদিশ, কলকাতা পুলিশের অভিযানে মধ্যপ্রদেশে গ্রেপ্তার মডিউলের মাথা]

শুভেন্দুর এই কটাক্ষের কড়া জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলছেন, অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের আদ্যোপান্ত চোর। নিজে বলেছিল ১১০০ কোটির পার্টি অফিস বিজেপির। কুণালের (Kunal Ghosh) দাবি, আসলে তৃণমূল দল হিসাবে বড় হচ্ছে। তাতেই গাত্রদাহ হচ্ছে শুভেন্দুর। পালটা তাঁর কটাক্ষ, বিজেপির কথা বলুন। ভোটের অনুপাত আর বিজেপির পার্টি অফিস। আসলে ও অভিষেক ফোবিয়ায় ভুগছে। মমতার নেতৃত্বে অভিষেকের সেনাপতিত্বে দল যেভাবে চলছে তাতে জ্বলছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ