BREAKING NEWS

১২ আশ্বিন  ১৪৩০  শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

SSC-প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের ধরনামঞ্চে ভাইফোঁটার আয়োজন, হাজির সেলিম-দিলীপও

Published by: Paramita Paul |    Posted: October 26, 2022 3:17 pm|    Updated: October 26, 2022 5:58 pm

TET and SSC protesters celebrate Bhai Phonta | Sangbad Pratidin

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, দীপাবলির পর ভাইফোঁটাতেও পথে ওঁরা। চাকরির দাবিতে ৫৯১ দিন ধরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় টেট (Primary TET) উত্তীর্ণ-সহ বহু চাকরিপ্রার্থী। পরিবার থেকে দূরে থাকায় এবারও দাদা-ভাইদের ফোঁটা দিতে পারবেন না আন্দোলনকারী বোনেরা। আবার ধরনায় বসা দাদা-ভাইরা বোনেদের সাহচার্য পাবেন না। তাই এবার মেয়ো রোডের রাস্তাতেই ভাইফোঁটা উদযাপন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনকারী দাদা-ভাইদের কপালে চুয়া-চন্দনের ফোঁটা দিলেন ধরনামঞ্চে থাকা বোনেরা। সেখানে হাজির ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের ধরনামঞ্চে হাজির হন দিলীপ ঘোষও। 

চাকরির দাবিতে ২০১৯ সাল থেকে রাস্তায় টেট উত্তীর্ণরা। শুধু প্রাথমিক শিক্ষক পদের চাকরিপ্রার্থী নয়, ধরনা দিচ্ছেন এসএসসি (SSC), এসএলএসটি (SLST) চাকরিপ্রার্থীরাও। দীর্ঘদিন ধরে পরিবার-পরিজনদের থেকে দূরে হকের চাকরির দাবিতে লড়াই করছেন তাঁরা। উৎসবের দিনও বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁদের। তাই ধরনা মঞ্চের ভাইবোনেরা মিলেই এদিন শামিল হন এই উৎসবে।

[আরও পড়ুন: চিনকে চাপে রাখতে নয়া কৌশল, অরুণাচল প্রদেশ সফরে মোদি, দলাই লামা!]

এদিন ধরনামঞ্চ আয়োজন করা হয়েছিল ভাইফোঁটার। চুয়া-চন্দন-দই -ধান-দুর্বায় দাদা-ভাইদের মঙ্গলকামনা করেন দিদি-বোনেরা। দাদা-ভাইদের মিষ্টিমুখের ব্যবস্থাও রেখেছিলেন বোনেরা। ছিল সিঙ্গারা-মিষ্টির ব্যবস্থা। এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী বোনেরা বলছেন, পরিবার ছেড়ে বহুদূরে রয়েছি। দিনরাত বিপদ থেকে এই দাদা-ভাইয়েরাই রক্ষা করছে আমাদের। ধরনামঞ্চ এখন একটা পরিবার। তাই এই ভাইফোঁটার আয়োজন।” দাদা-ভাইরাও বলছেন একই কথা। আর এই উৎসবে অংশ নেওয়া সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেন, “আন্দোলনমঞ্চ এখন একটা পরিবার। সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছেন। এই ভাইফোঁটা তারই পরিচয়।”

 

এদিন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের ধরনামঞ্চে হাজির হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তিনি। তাঁদের দাবিদাওয়া শোনেন। শাসকদলের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, “গত ৮ বছরে কোনও শিক্ষকপদ ফাঁকা হয়নি? কেন সেই পদে এই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কাউকে নিয়োগ করা গেল না?”  

[আরও পড়ুন: চিনকে চাপে রাখতে নয়া কৌশল, অরুণাচল প্রদেশ সফরে মোদি, দলাই লামা!]

আদালত রায় দিয়েছে। তবু হাতে আসেনি চাকরির নিয়োগপত্র। কেউ ৫ বছর তো কেউ তিন বছর ধরে চাকরি থেকে বঞ্চিত। নিয়োগপত্রের দাবিতে রোদ-ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে আন্দোলন করছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের মধ্যে কেউ বা প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ কারওর নাম রয়েছে নবম-দশম-একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের তালিকায়। বঞ্চিত এসএসসির গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডির চাকরিপ্রার্থীরাও। কেউ গান্ধীমূর্তির পাদদেশে, তো কেউ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন করছেন। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, এমনকী দীপাবলিতেও ধরনামঞ্চ ছাড়েননি তাঁরা। বরং ধরনামঞ্চেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো পালিত হয়। এবার সেই মঞ্চে পালিত হল ভাইফোঁটাও। 

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে