Advertisement
Advertisement

Breaking News

তৃণমূল

বাংলার মানুষের সমস্যা জানাতে প্রধানমন্ত্রীর ফোন নম্বর প্রকাশের দাবি তৃণমূলের

ডেরেক ও'ব্রায়েনের টুইটের পর সোশ্যাল মাধ্যমে শুরু রাজনৈতিক সংঘাত।

TMC wants PM Modi Phone number to inform people's problem
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:August 4, 2019 12:41 pm
  • Updated:August 4, 2019 1:08 pm

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রধানমন্ত্রীর নম্বর চাই। দাবি জানিয়ে প্রথম টুইটটা করেছিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন। সেই পথে একে একে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তীর মতো প্রায় সকলে। সাংসদদের একটাই দাবি,
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলার বহু মানুষ কথা বলতে চান। অনেকের সমস্যা সরাসরি তাঁকে জানাতে চান। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায় না। তাই অবিলম্বে তাঁর সঙ্গে কথা বলার নম্বর প্রকাশ করার দাবি জানাল তৃণমূল। তাঁদের কথায়, মানুষের বহু সমস্যা সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছনোর একটি নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। এবার প্রধানমন্ত্রীর নম্বর প্রকাশ করা হোক।

[আরও পড়ুন: তিলোত্তমার রাজপথে বন্ধুত্ব দিবস পালন, নয়া উদ্যোগ কলকাতা পুলিশের]

সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো‘ কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করেন। বলেন, “এসব কর্মসূচি নিয়ে কোনও লাভ হবে না। আগেই তাঁর বাংলার মানুষের কথা শোনা উচিত ছিল। এখন বরং সবাই দিদিকে ছাড়ুন। মোদিজির কাছে আসুন।” তার পরেই মুখ খুলেছে তৃণমূল। সম্প্রতি ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করার পরই ব্যাপক সাড়া পড়ে গিয়েছে বাংলাজুড়ে। একদিকে জনসংযোগের এই কর্মসূচিতে রাস্তায় নেমেছেন দলের বিধায়করা। তাঁদের টার্গেট ২০২১-এর বিধানসভা ভোট। অন্যদিকে, টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে অসংখ্য মানুষ অভিযোগ জানাচ্ছেন ‘দিদিকে বলো’-র দপ্তরে। সব মিলিয়ে মানুষের অভিযোগ, মতামতে ভরে যাচ্ছে দপ্তর। এই পর্বে শিবরাজ চৌহানের এই মন্তব্যে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তৃণমূল।

Advertisement

দলের প্রায় প্রত্যেক সাংসদ, বিধায়ক ও মন্ত্রীরা সকলে তাঁদের টুইটার হ্যান্ডল থেকে শিবরাজকে ট্যাগ করে, দাবি তুলেছেন অবিলম্বে মোদির নম্বর প্রকাশ করার। অভিষেক, ডেরেক ও মিমিরা প্রত্যেকে বলেছেন, “চৌহানজির কাছে অনুরোধ, প্রধানমন্ত্রীর যে নম্বরে মানুষ তাঁর কাছে পৌঁছতে পারে, সেই নম্বর প্রকাশ করুন। বহু মানুষের প্রধানমন্ত্রীকে দরকার।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: আসন্ন কলেজ ভোটে বিরোধীদের বাধা নয়, ছাত্রনেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ পার্থর]

একইসঙ্গে তাঁরা জানাচ্ছেন, “এর মধ্যেই দিদির কাছে পৌঁছনোর নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। সামান্য একটা ফোন করলেই এখন মানুষ দিদির কাছে পৌঁছতে পারছেন।” এর মধ্যেই রাজ্যজুড়ে নেতারা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাঁদের বাড়ি যাচ্ছেন। সেখানে রাত কাটাচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে খাবারও খাচ্ছেন। এই আলাপ পর্বেই উঠে আসছে একাধিক অভিযোগ। ক্ষোভ-অভিমানের কথা। সরকারি পরিষেবা নিয়ে যেমন মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে নানা মহল থেকে অভিযোগ জমা পড়ছে। সেভাবেই এবার দলীয় সংগঠনের নানা স্তর থেকে অভিযোগ আসছে ‘দিদিকে বলো’-র দপ্তরে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ