রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’ অথবা অহিংসার পথে হিংসার সমাধান – এসব এখন অতীত। হিংসার বদলে আরও হিংসা, যুদ্ধের বদলে পালটা যুদ্ধ – আপাতত এসবেই বিশ্বাসী বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। নিজের মতামতের সমর্থন টানতে গিয়ে আবার সোজা মহাভারতের তুলনাও করে বসলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, ”হিংসার প্রতিরোধে যদি কেউ ভাবে, মন্ত্র জপ করলে হয়ে যাবে, তাহলে লোকে তাকে নির্বোধ ও কাপুরুষ ভাববে। তাহলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কি যুদ্ধ করে ভুল করেছিলেন? যারা কাপুরুষ, তারা ক্ষমার কথা বলে। হিংসা ছাড়া পৃথিবীতে কোনওদিন কোনও সমাধান হয়নি।”

আজ সকালে ইকো পার্কে বিশ্ব যোগ দিবসে যোগদান করতে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। করোনা আবহে যোগাভ্যাসের গুরুত্ব নিয়ে বেশ কয়েকটি কথা বলার পরই তিনি প্রসঙ্গ বদলে চলে যান রাজনৈতিক কথায়। সেখানেই বলেন, ”আজ যদি চিনকে হিন্দি-চিনি ভাই-ভাই বলি, তাহলে দেশের আরও কিছুটা ওরা নিয়ে নেবে। যে যে ভাষায় কথা বোঝে, তাকে সে ভাষায় জবাব দেওয়া উচিত।”
[আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার পথে জাহাজ থেকে উধাও বাঁশদ্রোণীর ইঞ্জিনিয়ার, দুশ্চিন্তায় পরিবার]
সম্প্রতি লাদাখ সংঘর্ষ নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্যই করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। শনিবারও উত্তর কলকাতায় চায়ে পে চর্চায় গিয়ে চিনের উদ্দেশে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরেই বলেছিলেন, ”ভারতকে কেউ ভয় দেখানোর চেষ্টা করলে, তার উচিত শিক্ষা পাবে।” আজও জবাব দেওয়ার ভাষা নিয়ে মতামত দিলেন। তবে মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সঙ্গে যেভাবে তুলনা করলেন, তাতে অনেকেই একটু বিস্মিত। তাঁর এহেন মন্তব্য নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়ে গিয়েছে নানা মহলে।
[আরও পড়ুন: লাদাখ সংঘর্ষের প্রভাব কলকাতা মেট্রোতেও! চিন থেকে এসি রেক আমদানি নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা]
এদিন বিশ্ব যোগ দিবস পালনে অংশ নিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ-সহ রাজ্য বিজেপি বেশ কয়েকজন নেতা, কর্মীরা। ব্যায়াম করেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, সায়ন্তন বসু ছাড়াও বিজেপির সমস্ত সাংসদ-বিধায়ক। রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, করোনা আবহে সুস্থসবল থাকতে যোগই বড় মাধ্যম। করোনা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে, যোগের মাধ্যমে সকলকে সুস্থ থাকতে হবে।