সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চেহারায় সেই পরিচিত জৌলুসটা নেই। একমুখ দাড়িগোঁফ। বিগত চার মাস যেন তাঁর শারীরিক শক্তি শুষে নিয়েছে। কিন্তু কেড়ে নিতে পারেনি মনোবল। আর তাই সুস্থ হলেই যে রাজনীতিতে ফিরবেন, এমনটাই দ্বিধাহীনভাবে জানিয়ে দিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
[ স্পেস স্টেশনের নতুন প্রজাতির নামকরণে কালামকে শ্রদ্ধা নাসার ]
রবিবারই কলকাতা এসে পৌঁছেছেন তৃণমূলের পরিষদীয় দলের নেতা। রোজভ্যালি কাণ্ডের যেরে যাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। একাধিক অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তার উপর গায়ে লেগে ছিল প্রভাবশালী তকমা। অভিযোগ তো প্রমাণিত হয়ইনি। এমনকী প্রভাবশালী তত্ত্বও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ফলত এতদিনে জামিন পেয়েছেন দলনেতা। খবর পেয়ে নেত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, ‘সুদীপদা খানিকটা বিশ্রাম নিক।’ আপাতত অ্যাপোলো হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা চলবে। তবে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত এখনই দিয়ে রাখলেন সুদীপ। তাঁর কেরিয়ারে যে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে তা বোধহয় তিনি নিজেও কল্পনা করতে পারেননি। এমনকী খোদ দলনেত্রীও সুদীপের গ্রেপ্তারীতে অবাক হয়েছিলেন। সাফ জানিয়েছিলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতির বলি হয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। নোটবন্দির কড়া বিরোধিতা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর মুখপাত্র হয়ে সংসদে সবথেকে বেশি সরব হয়েছিলেন সুদীপই। একের পর এক যুক্তি ও প্রমাণ দাখিল করে নোটবন্দির সিদ্ধান্তের অসরতা তুলে ধরছিলেন তিনি। আর তারপরই তাঁর গ্রেপ্তারি। ফল প্রতিহিংসার তত্ত্বই জোরদার হয়েছিল। এমনকী সুদীপ নিজেও সে কথা জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, সংসদে সরব হওয়ার পুরস্কার এ গ্রেপ্তারি।
[ বিজেপি-র দরজা খোলা, মোদির সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন রজনীকান্ত ]
বিচার চালাকালীনই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর সঙ্গে গিয়ে দেখা করে আসেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, রাজনৈতিক কেরিয়ারে এরকম অবস্থার মুখোমুখি হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সুদীপ। এতদিনে জামিন মেলায় খানিকটা স্বস্তি। তবে যে রাজনীতির কারণে তাঁর এই অবস্থা, সেই জমি ছাড়তে কিন্তু নারাজ সুদীপ। কণ্ঠ ক্ষীণ হলেও দৃঢ়স্বরে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, একটু সুস্থ হলেই ফের রাজনীতিতে ফিরবেন। রাজনীতি ছেড়ে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। শহরে ফিরে দলনেত্রীর সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেখা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।