সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেস বিবৃতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ খারিজ করেছিল রাজভবন। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানান বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাজ্যপাল ও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে এবার পাল্টা জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন দাঙ্গা ঠেকানোর ওষুধ তাঁর কাছে রয়েছে। অশান্তি ঠেকাতে রাজ্যের প্রতিটি বুথে শান্তিবাহিনী নামাচ্ছে রাজ্য সরকার। ১৫-২০ জনকে নিয়ে গঠিত এই বাহিনী এলাকায় কেউ গুজব রটাচ্ছে কিনা তার খোঁজ নেবে। পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলবে শান্তিবাহিনী। রাজ্যপাল নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য না করলেও, রাজ্য প্রশাসনের হয়ে এদিন জবাব দিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী। রাজ্যপালকে ‘তোতাপাখি’ বলে কটাক্ষ করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
বাদুড়িয়ার অশান্তি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চরমে। মঙ্গলবার বিকেলে এই ঘটনায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে বেনজিরভাবে মুখ খুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা জবাবও দিয়েছিল রাজভবন। এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রাজ্যে ৩৫৬ ধারার দাবি জানান। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী ফের পালটা আক্রমণের রাস্তায় নেমেছেন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের সঙ্গে পেরে উঠতে না পারে চক্রান্ত হচ্ছে। শাসক দলকে চুপ করাতে সরকারি মেশিনারি ব্যবহার হচ্ছে। ক্ষমতার জোরে ছড়ানো হচ্ছে গুজব। মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, বিজেপির মদতে এই অশান্তি। তার মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন শান্তিবাহিনী গঠন করে এর মোকাবিলা হবে। বাদুড়িয়ার অশান্তি ঠেকানো নিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দেন পুলিশের পক্ষে একা সব সামলানো সম্ভব নয়। এর জন্য শান্তিবাহিনী কাজ করবে। ছাত্র, যুব, শান্তিপ্রিয় মানুষদের নিয়ে এই বাহিনী তৈরি হবে। রাজ্যের ৬০ হাজার বুথে থাকবে বাহিনী। যারা এলাকায় কেউ গুজব রটানো বা অশান্তি ছড়াচ্ছে কিনা তার খেয়াল রাখবে। গোরক্ষার নামে কোনও প্ররোচনা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাদুড়িয়ার ঘটনা যে বিচ্ছিন্ন, তা প্রমাণে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি রাজ্যের ৩৪১টি ব্লকের মধ্যে মাত্র ৪টি ব্লকে অশান্তি হয়েছে। ব্যক্তি স্বার্থে বিভেদ ছড়ানোর চেষ্টা করা হলে যে রেয়াত করা হবে না তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতাদের তিনি দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেন। বাদুড়িয়ার ঘটনা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে বিতর্কের বিষয় এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। তবে এই বিতর্ক আরও উসকে দিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বাদুড়িয়ার বিষয় নিয়ে রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনা করে তাঁকে তোতাপাখি বলে খোঁচা দেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির চিঠির খসড়া করে দেন রাজ্যপাল। তিনি পদের অমার্যাদা করছেন। ফের রাজ্যপালের গদিতে থাকার মোহে তিনি এই কাজ করছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.