সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনের পারফেক্ট পার্টনার পাওয়াটা নেহাত সহজ কাজ নয়। যাঁদের প্রেম বদলে যায় পরিণয়ে তাঁদের ব্যাপারটা আলাদা। কিন্তু দেখেশুনে বিয়ে করার ক্ষেত্রে নানা চিন্তা মাথায় ঘোরাফেরা করে। বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে এক ক্লিকেই এখন লাখো পাত্রের সন্ধান মেলে। ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটগুলিতে একবার রেজিস্টার করিয়ে নিলেই হল। কিন্তু পাত্রের স্বভাব কেমন, পাত্রী কতদূর পড়াশোনা করেছেন, পাত্রের বাড়িতে কারা আছেন, সেসব তথ্য কি সবই সঠিক থাকে? বলা সম্ভব নয়। এসব ওয়েবসাইটে ভুয়ো নামে রেজিস্টার করে অনেকেই প্রতাণার চেষ্টা করে। ফলে প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে বিপদে পড়তে হয় অনেককে। সে সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। তাহলে কীভাবে সতর্ক থাকবেন? কীভাবে বুঝবেন, এই সব ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট থেকে যাঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে চলেছেন, তিনি আদৌ সেই খাঁটি মানুষটিই কিনা? পাত্র-পাত্রী বেছে নেওয়ার আগে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখলে অনেকটাই সতর্ক থাকা সম্ভব।
সাইটটির সত্যতা যাচাই করুন:
রেজিস্টার করার দেখে সাইটটির উপর কতটা ভরসা করা যায় তা যাচাই করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ ভারচুয়াল দুনিয়ায় এমন হাজারো সাইট রয়েছে যার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই রেজিস্টার করার আগে বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন। তাছাড়া ওয়েবসাইট থেকে নিজের জীবনসঙ্গী খুঁজে পেয়েছেন, এমন ব্যক্তি বা মহিলার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সেই সাইটেই রেজিস্টার করতে পারেন।
[পেশায় উন্নতি করতে চান? তবে এই অভ্যাসগুলি এখনই ছাড়ুন]
প্রোফাইলটির ব্যাকগ্রাউন্ড খুঁটিয়ে দেখুন:
প্রচ্ছদ দেখে যেমন বইটি কেমন তা আন্দাজ করা যায় না, এক্ষেত্রেও বিষয়টা এক। প্রোফাইলে যা তথ্য থাকে তার মধ্যে সব সঠিক নাও হতে পারে। তাই জীবনসঙ্গী হিসেবে কাউকে পছন্দ হলে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে কয়েকটা জিনিস খতিয়ে দেখে নেওয়াই ভাল। সেই ব্যক্তি বা মহিলাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুঁজে বের করতে পারলে তাঁর সম্বন্ধে আরও অনেক তথ্য পাওয়া সম্ভব। সোশ্যাল সাইটের প্রোফাইল থেকে হয়তো কোনও বন্ধু বা আত্মীয়কেও খুঁজে পেলেন। তাঁর থেকেও তখন কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাবে। এছাড়া নিজের সূত্র কাজে লাগিয়ে তাঁর কর্মক্ষেত্রও যাচাই করে নেওয়া সম্ভব।
প্রকাশ্যে দেখা করাই শ্রেয়:
ওয়েবসাইটে আলাপ হাওয়া পরিচিতের সঙ্গে জনবহুল এলাকায় দেখা করাই ভাল। এক্ষেত্রে কোনও কফিশপ বা শপিং মল কিংবা কোনও পার্কে সাক্ষাৎ করতেই পারেন। চেষ্টা করবেন দিনের আলো থাকতেই কথাবার্তা মিটিয়ে নেওয়ার। বাড়িতে বা হোটেলের ঘরে না যাওয়াই শ্রেয়। কে বলতে পারে উলটো দিকের মানুষটির কোনও বদ উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা। তাই সময় থাকতে সতর্ক থাকুন।
সীমারেখা লঙ্ঘন করতে দেবেন না:
একজনের সঙ্গে দেখা করার অর্থ এই নয় যে তাঁর সঙ্গেই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন। তাই তাঁর সঙ্গে দু-তিনবারের সাক্ষাতেই যে ব্যক্তিগত জীবনের সব উজার করে দিতে হবে, এটাও ভুল ধারণা। তাই সতর্ক থাকুন। যদি দেখেন সেই মানুষটি অতিরিক্ত ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে চলেছেন কিংবা আপনার আর্থিক বিষয় নিয়ে বেশি মাথা ঘামাচ্ছেন, তাহলে কিন্তু সমস্যায় পড়তে পারেন। আপনাকে বিশ্বাস করার জন্য যতটা প্রয়োজন ততটাই জানান।
[গোপনে আপনাকে হিংসে করছে কেউ? বুঝবেন কীভাবে?]
আর্থিক সাহায্য চাইলে এড়িয়ে চলুন:
দু’দিনের আলাপ, একদিনের সাক্ষাৎ। আর তাতেই যদি সেই ব্যক্তি বা মহিলা আপনার থেকে অর্থ সাহায্য চেয়ে বসেন, তাহলে কিন্তু সাবধান! এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই তাঁর প্রতি দুর্বলতা বা আবেগের বশে ভুল করেও তার পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রেখেই তার অনুরোধ খারিজ করে দিন।