শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি : মিরিকে পর্যটক টানতে উদ্যোগী গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিশট্রেশন ও রাজ্য সরকার। মিরিকে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ মূলত সুমেন্দু লেক। পাহাড়ের বুকে সেই লেকে রংবাহারি মাছ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও লেকে বোটিংয়ের মতো মজা উপভোগ করতেই দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ঢল নামে। এবার পর্যটকদের আরও বেশি করে আকর্ষিত করতে অ্যাকোরিয়াম হাউস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মৎস্য দফতর ও জিটিএ যৌথভাবে অ্যাকোরিয়াম হাউস তৈরির কাজ করছে বলে জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে। মিরিকের সুমেন্দু লেকের সৌন্দর্য্যায়নের কাজও শুরু করা হয়েছে জিটিএ ও পুরনিগমের তরফে।
[আরও পড়ুন: জানেন, এ বাংলাতেই রয়েছে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন? কম খরচে ঘুরে আসতেই পারেন]
মিরিক টুরিজম বিভাগের ম্যানেজার সুরেন প্রধান বলেন, “গরমের মরশুমে পর্যটকের প্রচুর ঢল নামে মিরিকে। তার জন্য এই অ্যাকোরিয়াম হাউস তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি ওই অ্যাকোরিয়াম হাউসটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।” মিরিক পুরসভার চেয়ারম্যান লাল বাহাদুর রাই বলেন, “অ্যাকোরিয়াম হাউসের পাশাপাশি মিরিক লেক ও লেক সংলগ্ন এলাকার সৌন্দর্য্যায়নে জোর দেওয়া হচ্ছে। রাস্তার উন্নয়ন ও পথবাতি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রতীক্ষালয়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হচ্ছে। পর্যটকদের যাতে মিরিকে এলে বেশ কয়েকদিন এখানে কাটাতে পারেন, সেইদিকে নজর রাখা হবে।” তিনি জানিয়েছেন, জিটিএ’র আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে মিরিক লেকের প্রতিদিনের দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। লেক ও লেক সংলগ্ন এলাকা পুরনিগমের তরফে পরিষ্কার করা হবে।
জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, মে মাসের শুরুতেই অ্যাকোরিয়াম হাউস নির্মাণের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরো পাহাড়ের মধ্যে এই ধরনের অ্যাকোরিয়াম হাউজ প্রথম তৈরি করা হচ্ছে। প্রথমে অ্যাকোরিয়ামে ৪০টি প্রজাতির মাছ রাখা হবে। এখন শুধু অ্যাকোরিয়ামে কাচ বসানোর কাজ বাকি। প্রকল্পটির জন্য ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মোট সাত কাঠা জমির উপর তৈরি করা হচ্ছে এই অ্যাকোরিয়াম হাউসটি। হাউসে ৩৬টি পৃথক কাচের চেম্বার থাকবে। গোল্ড ফিস, স্টার ফিস, কার্প সহ রকমারি সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি ‘বোরোলি’র মতো দেশি মাছ রাখার কথাও রয়েছে। মূলত জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার থেকে বোরোলি মাছ আনা হবে। যদিও পাহাড়ি পরিবেশে সমতলের দেশি মাছ বেঁচে থাকবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চেষ্টা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে মিরিক সংলগ্ন এলাকার উন্নয়নের জন্য ছয় কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।