সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাড়ি নিয়ে ফ্যাশনে মেতেছেন? লম্বা দাড়ির শখ? দাড়ি নিয়ে পুরুষদের আজকাল বেশ মাতামাতি। অনেকে তো আবার চুলে রং করার সঙ্গে সঙ্গে আজকাল দাড়িতেও গোলাপি বা বেগুনি রং করেন। দাড়িতে বিশেষ কাট নেই! মানে ট্রেন্ড ফলো করছেন না। কিন্তু জানেন কি, যে সাধের দাড়ি নিয়ে আপনি এত মাতামাতি করছেন, তা ভোগাতে পারে আপনাকে বা আপনার প্রিয়জনকে। আপনার সেই দাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছে সাংঘাতিক ধরণের জীবাণু। কিন্তু কতটা সাংঘাতিক জীবাণু? মাপকাঠি জানতে চান? আরেকটু খোলসা করে বলি তাহলে। আপনার দাড়ি কিন্তু কুকুরের লোমের থেকেও বেশি নোংরা হতে পারে। আর বিপদটা এখানেই, বলছেন গবেষকরা।
[ আরও পড়ুন: অটিজম এড়াতে মায়ের পেটে গল্প শোনা, গর্ভাবস্থায় আগাম সতর্কতার পরামর্শ]
আসলে, সুইৎজারল্যান্ডের জুরিখের একদল গবেষকরা কুকুরের লোম এবং দাড়ি নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। সেখান থেকেই উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। জুরিখের গবেষকরা একই এমআরএই স্ক্যানারের তলায় রেখে একসঙ্গে পরীক্ষা চালান কুকুরের লোম ও মানুষের দাড়ি নিয়ে। মোট ১৮ জনের দাড়ি ও ৩০ টি কুকুরের লোমের নিরীখে পরীক্ষা হয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল এই দু’য়ের পরিচ্ছন্নতা পরীক্ষা করা।
এই পরীক্ষায় প্রতিটি দাড়ির নমুনাতেই লক্ষ্য করা গিয়েছে মারাত্মক ক্ষতিকারক জীবাণুর উপস্থিতি। যেখানে ৩০টির মধ্যে মাত্র ২৩টি লোমের নমুনায় পাওয়া গিয়েছে ক্ষতিকারক জীবাণু। অন্যদিকে ১৮টি দাড়ির নমুনার মধ্যে ৭টি নমুনায় এতটাই ক্ষতিকারক জীবাণু দেখা গিয়েছে যে, তা থেকে হতে পারে মারাত্মক কোনও অসুখ।
[ আরও পড়ুন: মনের অসুখে হোমিওই অব্যর্থ, জানেন কীভাবে?]
দাড়ি এবং কুকুরের লোম নিয়ে এই গবেষণার মুখ্য গবেষক আন্দ্রিয়াস গাজেট জানান, এই গবেষণার ফল থেকে বলা যেতেই পারে যে কুকুরের লোমের থেকেও অনেক বেশি নোংরা এবং ক্ষতিকারক মানুষের দাড়ি। গত মাসেই এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হতে, তা নিয়ে হইচই পড়ে যায় ওয়েব দুনিয়ায়। যদিও এই রিপোর্টে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন অনেক গবেষকরাই।
কাজেই, এবার থেকে গার্লফ্রেন্ড বা প্রিয়জনের গালে বা শরীরে দাড়ি ঘষার আগে ভাবুন। আদরে আদরে, আপনার অজান্তেই কিন্তু তা থেকে হতে পারে অপর ব্যক্তির অসুখ বা ত্বকে ব়্যাশ-ফুসকুড়ির মতো সমস্যা।