ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: দেশের বাছাই করা কয়েকটি শহরের সঙ্গে কলকাতায় শুরু হলো করোনার বিসিজি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। শুক্রবার প্রথম দিনেই ৪০জন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির COVID পরীক্ষা নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর তাঁদের শরীরে ফুঁড়ে দেওয়া হলো ব্যাসিলাস কালমেট গুইরিন (BCG) ভ্যাকসিন। বস্তুত, এই ট্রায়াল যাতে প্রকাশ্যে না আসে তার জন্য যথেষ্ট সাবধানতা নেওয়া হয়েছে। যাঁরা ভ্যাকসিন নেবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। এমনই কঠোর অনুশাসন রয়েছে ICMR-এর।
গত ২৬ জুন ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যাতে উল্লেখ ছিল ICMR-এর উদ্যোগে কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালে বিসিজি’র ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে। শুধু তাই নয়, এর আগে ‘সংবাদ প্রতিদিন’ প্রথম এই ট্রায়ালের কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনে। ICMR-এর শাখা সংস্থা নাইসেড যে ব্যক্তির নাম পাঠাচ্ছে, তাঁদের শারীরিক পরীক্ষার পর বিসিজি প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে। নাইসেড সূত্রে খবর, প্রথম দিনেই ৪৫জন কে প্রতিষেধক দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিকে বলা হয়,’ডবল লাইন কন্ট্রোল ট্রায়াল’।
[আরও পড়ুন: শ্বাসকষ্টের বদলে স্নায়ুর সমস্যা, চিকিৎসকদের ভাবাচ্ছে করোনা আক্রান্ত শিশুদের নতুন উপসর্গ]
মূলত COVID ওয়ার্ডে কর্মরত নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের এই প্রতিষেধক দেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ICMR-এর বিশেষজ্ঞদের অভিমত, করোনা ভাইরাসকে কাবু করতে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে বিসিজি। ভ্যাকসিন দেওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্মার্ট ফোনে একটি অ্যাপ যুক্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী তাঁদের সঙ্গে এই অ্যাপ থেকে যোগাযোগ করা হবে। করোনায় ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের উপর এই ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর হয়, তার উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আমজনতার উপর এটি প্রয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।