সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিডের সংকটজনক দশায় বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে মস্তিষ্ক। কমতে পারে মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটার! হায়দরাবাদের এক দল নিউরোলজিস্টদের দাবি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে কীভাবে করোনার পরে তৈরি হওয়া স্নায়মিক সমস্যা এড়ানো যায়, তা নিয়েও পরামর্শ দিয়েছেন ওই নিউরোলজিস্টরা।
হায়দরাবাদের চিকিৎসকদের দাবি, কোভিড গুরুতর আকার ধারণ করলে মস্তিষ্কের ‘গ্রে ম্যাটার’-এর আয়তন কমে যেতে পারে। কোভিডের মাঝারি থেকে স্বল্প মাত্রার সংক্রমণের ক্ষেত্রে যদিও এরকম কিছু ঘটে না বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে যাদের অবস্থা সংকটজনক আকার ধারণ করছে, যাদের হাসপাতালে ভরতি হতে হচ্ছে, এমনকী থাকতে হচ্ছে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে, তাদের স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলেই জানিয়েছেন নিউরোলজিস্টরা। আর এরই সঙ্গে কমছে মস্তিষ্কে ‘গ্রে ম্যাটার’-আয়তন। উল্লেখ্য, এই ‘গ্রে ম্যাটার’ই মস্তিষ্ককে তথ্য প্রক্রিয়াবদ্ধ করতে সাহায্য করে।
নিউরোলজিস্টদের দাবি, কোভিডের সংকটজনক ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে অর্থাৎ যেখানে কোভিড আক্রান্তকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রেখে, অক্সিজেন সরবরাহ করার প্রয়োজন দেখা দেয়, সেই সব ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, আক্রান্তের মস্তিষ্কের ফন্টাল লোবের ‘গ্রে ম্যাটার’ ক্রমশ কমে যাচ্ছে। এ বিষয়ে হওয়া একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষার ফলাফলকে উদ্ধৃত করে গাচিবৌলির সানশাইন হসপিটালসের সিনিয়র কনসালটেন্ট নিউরোসার্জন, ডা. পি রঙ্গনাধম জানিয়েছেন, “মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশের ‘গ্রে ম্যাটার’-এর হার হ্রাস করতে কোভিড প্রভাব ফেলছে বলেই আমরা দেখতে পাচ্ছি। যাদের জ্বর হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রেই এটা দেখা যাচ্ছে, উপসর্গহীনদের ক্ষেত্রে একেবারেই নয়।”
তাঁর পরামর্শ, কোভিড সংক্রমণের ফলে যাদের স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তাদের কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর, আরও অন্তত ছ’মাস, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। যদিও এই চিকিৎসকের দাবি, অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়ার সময়েও অনেকের স্নায়বিক রোগব্যধি থেকেই যাচ্ছে, আবার ছ’মাস পরেও সেটা স্থায়ী হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.