Advertisement
Advertisement

Breaking News

COVID-19

অ্যান্টিবডির ককটেলই রুখে দেবে সংক্রমণ! আশায় বুক বাঁধছেন চিকিৎসকরা

সবাইকে এই ওষুধ দেওয়া যাবে না।

Roche's COVID-19 antibody cocktail receives Emergency Use Authorisation in India| Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 6, 2021 4:49 pm
  • Updated:May 6, 2021 5:17 pm

গৌতম ব্রহ্ম: কোভিডযুদ্ধে এবার অ্যান্টিবডির ককটেল! ক্যাসিরিভিম্যাব ও ইমডেভিম্যাব। এই দুই অ্যান্টিবডির (Antibody Cocktail) মিশ্রণকে একযোগে প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হল ভারতে। ওষুধ নির্মাতাদের দাবি, মৃদু ও মাঝারি উপসর্গযুক্ত রোগীদের শরীরে এই অ্যান্টিবডি প্রবেশ করানো গেলে কোভিড মারমুখী চেহারা নিতে পারবে না।

কোভিড চিকিৎসায় মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহার হচ্ছে। ইজরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই বায়োপ্রোটিন তৈরি করা হচ্ছে। ‘টোসিলিজুমাব’ নামের সেই অ্যান্টিবডি ওষুধ সংকটজনক রোগীর চিকিৎসায় বহু হাসপাতালই ব্যবহার করছে। ফলও ভাল মিলছে বলে দাবি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় ক্যাসিরিভিম্যাব ও ইমডেভিম্যাব ডাক্তারবাবুদের কাছে বাড়তি অস্ত্র হয়ে উঠবে। এমনটাই মত সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের। ভাইরোলজিস্ট ডা. সিদ্ধার্থ জোয়ারদার জানিয়েছেন, “বেশি ঝুঁকি আছে এমন আক্রান্ত মানুষদের যদি মৃদু বা মাঝারি মাত্রায় কোভিডের উপসর্গ দেখা গেলে এই ওষুধ ডাক্তার বাবুদের পরামর্শে ও পর্যবেক্ষণে দেওয়া যেতে পারে। দিতে হবে উপসর্গ শুরুর প্রথম দিকে। আরও খারাপ পরিণতি ঠেকাতে। শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া আটকাতে কাজে আসবে। সাইটোকাইন ঝড় আটকাতে সক্ষম হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা রুখতে অব্যর্থ স্টেরয়েড! বাড়িতে থাকা রোগীদের জোড়া ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ রাজ্যের]

তবে সবাইকে এই ওষুধ দেওয়া যাবে না। বয়স বারো বছরের বেশি ও ওজন ৪০ কেজির বেশি হতে হবে। অ্যান্টিবডি উৎপাদক সংস্থা ‘রচে ফার্মা’-র দাবি, মানবশরীরে করোনার বংশবিস্তার গোড়াতেই আটকে দেবে এই অ্যান্টিবডি। ফলে, কোভিড কখনওই বাড়াবাড়ির পর্যায়ে যাবে না। হাসপাতালে ভরতির প্রয়োজন কমবে। কমবে মৃত্যুহারও। সংস্থার তরফে কোভিড রোগীদের উপর তিন দফায় ট্রায়াল চালানো হয়েছে। রচে ফার্মা-র দাবি, ক্যাসিরিভিম্যাব ও ইমডেভিম্যাব অ্যান্টিবডির ব্যবহার হাসপাতালে যাওয়া ও মৃত্যুহার অন্তত ৭০ শতাংশ কমাবে।

Advertisement

তৃতীয় ট্রায়ালের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরই এই ককটেল ওষুধকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে ‘সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’। যদিও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ এই ওষুধের দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের ডা. সঞ্জীব বন্দে্যাপাধ্যায় জানিয়েছেন, বড়লোক-গরিব দেখে কোভিড হয় না। অপুষ্টিতে ভোগা বস্তিবাসী থেকে কলোনির গরিব মানুষ সবাইকেই ছোবল দিচ্ছে এই মারণব্যাধি। এই অংশের মানুষের পক্ষে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি কেনা সম্ভব নয়। সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে উদ্যোগ নিলে ভাল। নচেৎ এই ওষুধের সুফল গুটিকয়েক মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে।

[আরও পড়ুন: ১৫ গুণ বেশি ভয়ংকর! আতঙ্ক ছড়াচ্ছে অন্ধ্রের নয়া করোনা স্ট্রেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ