সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’জনে সুখে, দুঃখে একসঙ্গে দিন কাটানোর পর সকলেই নিজের সন্তানের স্বপ্ন দেখতে থাকেন। যাকে ঘিরে দম্পতি কত কিছুই না স্বপ্ন দেখে। সন্তান পৃথিবীতে আসার পর কীভাবে তাকে রাখবে, কীভাবে বড় করে তুলবে, কতই না ভাবনাচিন্তা। তবে জানেন কী, আপনার সদ্যোজাত সন্তানকে কোথায় রাখছেন তার উপর স্বাস্থ্য, মানসিক বিকাশের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ভর করে। তাই নিজের মতো যেখানে ইচ্ছা হল সেখানে খুদেকে রাখার বন্দোবস্ত করবেন না। পরিবর্তে বাস্তুমতে মেনে চলুন কয়েকটি টিপস।
বাস্তুতত্ত্ববিদদের মতে, সদ্যোজাতকে এমন ঘরে রাখার বন্দোবস্ত করুন যেখানে আলোর কোনও অভাব নেই। সূর্যালোক ঢুকতে পারে এমন ঘরে রাখুন। তাহলে সদ্যোজাতর খুব সহজে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে। এছাড়া শিশুর ঘরে সূর্যালোক ঢুকতে পারলে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কাও কমবে।
বাস্তুশাস্ত্র মতে, শিশুর ঘরে কোণের একটু সৈন্ধব লবণ রাখুন। তাহলে দেখবেন কোনও অশুভ শক্তিই আর তাকে স্পর্শ করতে পারবে না।
শিশু যে ঘরে রয়েছে তার উত্তর পশ্চিমদিকে কোনও জানলা রয়েছে কিনা, তা খেয়াল রাখুন। বাস্তুশাস্ত্র মতে, তাহলে কখনও শিশুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হবে না।
[আরও পড়ুন: বাড়িতে আরশোলার উপদ্রব? ৬টি ঘরোয়া উপায়ে এভাবেই করুন বংশ ধ্বংস]
ঘুমনোর জন্য ঘরের কোন দিকে ব্যবস্থা করেছেন, তার উপরেও নির্ভর করে শিশুর স্বাস্থ্য। উত্তর, উত্তর পূর্ব, কিংবা পূর্বদিকেই শিশুর ঘুমনোর বন্দোবস্ত করা উচিত। ঘুমনোর সময় শিশুর মাথা দক্ষিণ কিংবা পশ্চিম দিকে থাকাই ভাল।
বাচ্চার স্বাস্থ্য ঘরের রঙের উপরেও নির্ভর করে। চোখে আরামদায়ক রংই যাতে শিশুর ঘরের দেওয়ালে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে ভুলবেন না। হালফিলের ট্রেন্ড অনুযায়ী অনেকেই দেওয়ালে নানা ছবি আঁকানোর বন্দোবস্ত করে। ছবি দেখে যাতে বাচ্চার মনে কোনও কুপ্রভাব না পড়তে পারে সেদিকে নজর রাখুন।
তবে একজন শিশু সুস্থভাবে বড় হয়ে ওঠার জন্য অবশ্যই তাদের বাবা-মায়ের সম্পর্ক খুব ভাল হওয়া প্রয়োজন। তাহলে একটি শিশু সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারে।
[আরও পড়ুন: শুধু চুল শুকোতে নয়, বাড়ির কাজে হেয়ার ড্রায়ারের এই ব্যবহারগুলি জানলে চমকে যাবেন]