সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফাস্টফুড ছাড়া দিন কাটে নাকি? এহেন ভাবনা নিয়ে যাঁদের ওঠাবসা, তাঁদের জন্য সতর্কবার্তা। ফাস্টফুড প্রীতিই মা ও বাবা হওয়ার ক্ষেত্রে সব থেকে বড় বাধা হয়ে দেখা দিতে পারে। অন্তত গবেষকদের তেমনটাই দাবি। সবে সবে বিয়ে হয়েছে। হানিমুন পিরিয়ড কাটিয়ে এখনও কাজের জগতে ফেরেননি। তবে দু’একদিনের মধ্যেই ফের অফিসে যাওয়া শুরু করতে হবে। নতুন সংসার, শ্বশুরবাড়ি, নতুন সম্পর্ক সামলে অফিস। যদি দু’জনের সংসার হয় তাহলে তো কথাই নেই। সকালে কোনওরকমে প্রাতরাশ সেরেই অফিসের উদ্দেশে রওনা দেওয়া। দুপুরে অফিসের খাবার খেয়ে রাতে ফাস্টফুড। বাড়িতে ফিরে রান্নার ঝামেলা নেই। ছুটির দিন বন্ধুরা বাড়িতে এসেছে, রান্নার ঝামেলা এড়িয়ে পড় কোনও রেস্তরাঁ থেকেই আনিয়ে নেওয়া হল খাবারদাবার। মানে ওই ফাস্টফুড আর কী। দিনের পর দিন এই রুটিন চলতে থাকলে কিন্তু রক্ষে নেই। শুধু পেট খারাপ নয় নানাবিধ রোগ একেবারে গুছিয়ে বসতে পারে শরীরে। তাতেও যদি আশ না মেটে আসতে পারে বড় বিপদ। বিয়ের পর পর বাচ্চার পরিকল্পনা থাকলে হতাশ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। গবেষণা বলছে, যত বেশি ফাস্টফুডে অভ্যস্ত হবেন তত বেশি করে কমবে গর্ভধারণের ক্ষমতা।
[প্রথমবার ডেটে যাচ্ছেন, কোন রঙের পোশাক পরবেন জানেন?]
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইউরোপের প্রায় পাঁচ হাজার ৫৯৮জন গৃহবধূর উপর সমীক্ষা চালিয়েছে অ্যাডিলেড ইউনিভার্সিটির রবিনসন রিসার্চ ইনস্টিটিউট। বেশিরভাগ মহিলারই দৈনন্দিন ডায়েটে রয়েছে ফল, সবুজ শাকসবজি ও অন্যান্য খাবারদাবার। বাচ্চার পরিকল্পনা করার পর যাঁরা নিয়মিত এই ডায়েট অনুসরণ করেছেন, তাঁদের গর্ভধারণের জন্য খুব বেশিদিন অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। সাধারণত দিনে বার তিনেক ফল খাওয়া চালিয়ে গেলেই ১৫ দিনের মধ্যে কনসিভ করতে পারবেন মহিলারা। একইভাবে যাঁরা ফাস্টফুডের বাইরে পৃথিবী নিয়ে ভাবতেই শেখেননি তাঁদের গর্ভধারণের সময়সীমা বেশ দীর্ঘ। সমীক্ষা শেষে দেখা গিয়েছে ৪৬৮ জোড়া দম্পতির বাবা-মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণে একবছর লেগেছে। একইভাবে ৩৯ শতাংশ মহিলা মাত্র একমাসের মধ্যেই সন্তানসম্ভবা হয়েছেন। এরপরেই প্রত্যেকের ডায়েট চার্টের উপরে নজর দেওয়া হয়। যাঁরা কালেভদ্রে ফল খেয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আট থেকে ১২ শতাংশ বেড়ে যায় সন্তানহীনতার সম্ভাবনা। অন্যদিকে যাঁরা সপ্তাহে বেশ কয়েকবার ফাস্টফুড খেয়ে থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রে তা বেড়ে ১৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
[আপনার ব্লাড গ্রুপ কি ‘ও’? তবে সাবধানে থাকুন]
তাই ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের কথা মাথায় এলেই ডায়েটে বদল আনুন। যখন তখন ফাস্টফুডের দিকে হাত বাড়াবেন না। বাড়ির খাবারের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ফল খান। খাবারের তালিকায় রাখুন সবুজ শাকসবজি। মনের ভুলেও দেখবেন না পিজ্জা, বার্গারের দিকে। স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চললেই গর্ভধারণ সহজ হবে। এর ফলে মানসিক স্থিরতা যেমন বাড়বে, তেমনই শরীরও ভাল থাকবে। মোটের উপর প্রেগন্যান্সি নিয়ে জটিলতা কাটাতে স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলুন। ফাস্টফুড এড়িয়ে বেশি বেশি ফল সবজি খান।