সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইনের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন ভুয়ো পোস্ট। সেনার কার্যকলাপ নিয়েও তোলা হয়েছে প্রশ্ন। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরিবর্তে আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। আর এ নিয়েই এবার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করল ভারতীয় সেনা।
নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইনের প্রতিবাদে আগুন জ্বলছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি অসমে। দফার দফার চলছে বিক্ষোভ। ত্রিপুরাতেও পরিবেশ উত্তপ্ত। প্রতিবাদের আঁচ লেগেছে এ রাজ্যেও। শুক্রবার থেকে কলকাতার পার্ক সার্কাস, রাজারহাটে রাস্তা অপরোধ করে চলছে প্রতিবাদ। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা স্টেশন জ্বলছে আগুন। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরাও। এমন সমস্ত পরিস্থিতির ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করা হচ্ছে। অসমের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পাশাপাশি সেনার আচরণ নিয়েও সেখানে চলছে তুমুল বিতর্ক। সেই কারণেই টুইট করে ভুয়ো খবর থেকে সাধারণকে দূরে থাকার পরামর্শ দিল ভারতীয় সেনা।
[আরও পড়ুন: CAA-এর প্রতিবাদে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে তাণ্ডব, আগুন-ভাঙচুরে স্তব্ধ জনজীবন]
সেনার অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, “মিথ্যা ও অপপ্রচার এড়িয়ে চলুন। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর প্রচার করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলছে। এধরনের গুজবে কর্ণপাত করবেন না। ভুল খবর থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। ভারতীয় সেনা।”
‘झूठ और दुष्प्रचार से बचें’
— ADG PI – INDIAN ARMY (@adgpi) December 14, 2019
झूठी खबरें और दुष्प्रचार सोशल मीडिया पर कुछ अहितकर तत्वों द्वारा फैलाया जा रहा है।
झूठी अफवाहों से बचे, झूठी खबरों को न सुने न देखें, न उस पर ध्यान दें।
भारतीय सेना – देश की सेना#IndianArmy#NationFirst pic.twitter.com/LVKbkz230Z
গত বৃহস্পতিবার অগ্নিগর্ভ অসম সামলাতে আট কলাম সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। পরে সেনার সংখ্যা আরও বাড়ে। শুক্রবারও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি লক্ষ্য করা যায়নি। তবে শনিবার ছবি তুলনামূলক স্বাভাবিক। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত গুয়াহাটিতে কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। ডিব্রুগড়ে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত কারফিউ জারি ছিল। যতটা সম্ভব জনজীবন স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। শনিবার দিনভর গুয়াহাটিতে খোলা থাকবে পেট্রল পাম্প। বিমানবন্দর ও স্টেশনে দুটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বোরঝাড়, খানপাড়া, পল্টন বাজার, কামাখ্যা মন্দির এবং গণেশবুড়িগামী বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। এছাড়াও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ কাছাড়, শান্তিপুর, করিমগঞ্জ, মাজুলি, লক্ষ্মীপুরের এসপিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।