সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপনি দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন। ভাবছেন কলিং বেল বাজাবেন। কিন্তু তার আগেই দেখলেন ভিতর থেকে ভেসে আসছে কলিং বেলের শব্দ। আপনার ভাবনাচিন্তা শেষ হওয়ার আগেই সহাস্য মুখে দরজাও খুলে ফেলেছে কেউ। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই। ভাবছেন কলিং বেল না বাজিয়েও এত কাণ্ড কীভাবে সম্ভব? কিন্তু আপনার অবাক লাগলেও এমনই অসাধ্যসাধন করেছে দিল্লির সার্থক জৈন। করোনা আবহে স্পর্শ ছাড়াই কলিং বেল বেজে ওঠার বন্দোবস্ত করেছেন সে।
নয়াদিল্লির শালিমার বাগের মডার্ন পাবলিক স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সার্থক। করোনা সংক্রমণ রুখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে বছর ষোলর কিশোরের। মাস্ক ব্যবহার, হাত পরিষ্কার সবই করছে সে। কিন্তু কলিং বেল বাজানোর সময় স্পর্শ এড়াবে কীভাবে, তা নিয়ে লকডাউনের সময় চিন্তাভাবনা শুরু করে কিশোর। ভাবতে ভাবতেই রাস্তা বের করে ফেলে সে। সামান্য কিছু সরঞ্জাম দিয়ে এক অন্য ধরনের কলিং বেল বানিয়ে ফেলে সার্থক। তার এই উদ্যোগে পাশে পায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে।
[আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে শামিল Walmart-Flipkart, ভারতকে ৪৬ কোটি টাকা অনুদান দুই কর্পোরেট সংস্থার]
স্কুল ছাত্র সার্থক বলে, “আল্ট্রাসনিক সেন্সরের মাধ্যমে কাজ করবে এই কলিং বেল। প্রায় ৩০-৫০ সেন্টিমিটার দূরত্বে এসে কেউ দাঁড়ালেই কলিং বেল প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁকে চিহ্নিত করতে পারবে। এরপর স্পর্শ ছাড়া নিজে থেকেই বাজবে কলিং বেল।” সার্থক আরও জানায়, “বিশেষজ্ঞরা বারবারই বলছেন যেকোনও জিনিসের উপরেই একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস। কিন্তু কলিং বেলে হাত না দিয়ে বাজানোও তো কঠিন? তাই ভাবনাচিন্তা শুরু করলাম। এরপর স্কুলের সাহায্য নিয়ে বানিয়ে ফেললাম স্পর্শ ছাড়াই বাজবে এমন কলিং বেল।” আপাতত নিজের বাড়িতে এই কলিং বেল ব্যবহার করছে সার্থক। তবে সার্থকের তৈরি স্মার্ট কলিং বেল বেশ সাড়া ফেলেছে। প্রতিবেশী, পরিজনরা এমন অত্যাধুনিক কলিং বেল তৈরি করে দেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছে কিশোরকে।