সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ রুখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট। যার জেরে রীতিমতো ক্ষতির মুখে টেলিকম সংস্থাগুলি। সূত্রের খবর, দেশের তিন বৃহত্তম টেলিকম সংস্থাকে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত উত্তপ্ত। বিক্ষোভের পরিমাণ সবচেয়ে বেশ পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি অসম-সহ উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে। পোড়ানো হয়েছে বাস, ট্রেন, সরকারি অফিস, দোকানপাট। বেশ কিছু এলাকায় বিক্ষোভ সাম্প্রদায়িক হিংসার রূপ নিয়েছে। পুলিশের সঙ্গেও খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই, দেশের বিস্তির্ণ এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ‘দরকারে সব জ্বালিয়ে দাও’, বনধ সমর্থকদের উসকে বিতর্কে কংগ্রেস নেতা]
এরাজ্যের অন্তত ৬টি জেলায় বেশ কিছুদিন ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং নদিয়ার কিছু অংশে বেশ কয়েকদিন বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট। উত্তরপ্রদেশের ২২ টি জেলায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। এখনও উত্তরপ্রদেশের ১৮টি জেলায় বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে অসম-মেঘালয়ে বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল ইন্টারনেট। কাশ্মীরে অবশ্য আগে থেকেই ইন্টারনেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরির টাকা দিয়েছে মোদি সরকারই, দাবি অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর]
টেলিকম সংস্থাগুলির হিসেব বলছে, সরকারি নির্দেশে এভাবে ইন্টারনেট বন্ধ রাখতে গিয়ে তাঁদের ঘণ্টায় গড়ে ২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা লোকসান হচ্ছে। সুইডিশ টেলিকম পর্যবেক্ষণ সংস্থা এরিকসন জানাচ্ছে, ভারতে প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মাসে ৯.৮ জিবি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। যা গোটা বিশ্বে সর্বোচ্চ। সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রেও ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম বাজার। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের দাবি, ভারতের টেলিকম সংস্থাগুলির একটি সংগঠন জানিয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় ২ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা লোকসান হচ্ছে টেলিকম সংস্থাগুলি। ভোডাভোন-আইডিয়া (Vodafone-Idea), ভারতী এয়ারটেল (Bharati Airtel)এবং রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) এই তিন সংগঠনই ওই সংস্থার সদস্য।