১০ অগ্রহায়ণ  ১৪৩০  মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

হাতে অল্প কয়েকদিনের ছুটি, শহরের কাছের এই গ্রামই হোক আপনার গন্তব্য

Published by: Sandipta Bhanja |    Posted: May 27, 2019 9:47 pm|    Updated: May 27, 2019 9:47 pm

Enjoy your weekend tour with your friend and family to Pingala, Nayagram

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝে মধ্যেই হালকা বৃষ্টির ঝাপটা। দু-এক পশলা বৃষ্টি হলেও গরম আর কমছে না কিছুতেই। চরচর করে চড়ছে পারদ। অফিসে যাওয়ার পথে চোখে উঠেছে রোদচশমা। জল খেতে হচ্ছে ঘনঘন। এমন গরম থেকে বাঁচতে কাছেপিঠে কোথাও বেড়িয়ে আসাই যায়। ভ্রমণপিপাসু বাঙালির সবসময়েই পায়ের তলায় সর্ষে। বললেই হল। ব্যাগপত্র গুছিয়ে প্রস্তুত। কিন্তু এই গরমে অল্পদিনের ছুটিতে কোথায় যাওয়া যায় বলুন তো?

[আরও পড়ুন:  ডাকছে ড্রাগনভূমি, গ্রীষ্মের ছুটির ঠিকানা ভুটান ভ্রমণ]

বলি কী একটু মেঠো পথ ধরুন। সবুজ মাঠ। কাঁচা বাড়ি। রং-বেরঙের মাটির দেওয়ালে ফুল-পাখি-পশুর ছবি। এর মাঝেই কচিকাঁচাগুলো খেলে বেড়াচ্ছে। কলকাতা থেকে মাত্র ১৩০ কিলোমিটার পথ গেলেই পাওয়া যাবে এই উন্মুক্ত প্রাঙ্গনের খোঁজ। যেখানে বিহঙ্গের কলতানে, গাছ-গাছালির ছাঁয়ায়, নুন মাখানো কাঁচা-মিঠে আমের আমেজে ভাসতে মন্দ লাগবে না। সেই জায়গার নাম নয়াগ্রাম। পটচিত্রের মতো পুরনো লোকশিল্পের উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে এই গ্রামটি। এখানকার লোকের অবসরযাপনও বড় সুখের। সময় পেলেই স্নানের আগে, পড়ন্ত বিকেলে নয়াগ্রামের আট থেকে আশি রং তুলি নিয়ে বসে যায় পটের প্রাণ প্রতিষ্ঠায়।

প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ ঘর পটুয়াকে নিয়ে গড়ে উঠেছে এই নয়াগ্রাম। শুনতে পাড়া গোছের লাগলেও, পরিসরে নেহাত কম নয়। আর পাঁচটা গ্রামের মতোই অতি সাধারণ। কিন্তু, অসাধারণত্ব প্রস্ফুটিত হয়েছে এখানকার প্রত্যেক বাড়ির রঙিন চিত্রিত দেওয়ালে। আরেকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই গ্রামের। তা হল পটচিত্রের ধারাবিবরণী শোনানো হয় গানের মাধ্যমে।এখানকার চিত্রগুলোর মানে না বুঝলে জিজ্ঞেস করবেন কাউকে। দেখবেন উপরি পাওনা হিসেবে শুনতে পাবেন ওদের মেঠো গান। যা গাইবে তার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আঁকার সারমর্ম। গানের কথা ও সুর বংশানুক্রমে পটুয়াদের মুখে মুখে প্রচারিত। লোকশিল্পের এমন ধারা খুব কমই রয়েছে যেখানে ছবি ও গানের মেলবন্ধন ঘটেছে। বংশ পরম্পরায় এই নেশা তাঁদের পেশাও বটে। পটের সঙ্গে সঙ্গে শাড়ি, চাদর, সালোয়ার, গয়না প্রভৃতিতেই এ রকমের আঁকা ফুটিয়ে তুলতে ওস্তাদ তাঁরা। একেকটা শাড়ির দাম পড়বে প্রায় ২০০০ টাকার উপর।

[আরও পড়ুন:  গ্রীষ্মের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন সিকিমের এই দুই শৈলশহরে]

এবার বলি, যাবেন কী করে? খুব একটা দুরূহ ব্যাপার নয়। হাওড়া থেকে খড়গপুর বা মেদিনীপুরগামী লোকাল ট্রেনে চেপে নামবেন বালিচক স্টেশন। তারপর ট্রেকারে প্রায় ২০ কিলোমিটার যেতে হবে। আর নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে প্রথমে ডেবরা। ডেবরা থেকে আবার বাঁদিকের রাস্তা ধরে বালিচক। তারপর বালিচক থেকে মুণ্ডমারি হয়ে পৌঁছে যাবেন পিংলার নয়াগ্রাম। যদি সেখানকার আতিথেয়তায় মজতে চান, তাহলে অতিথি বৎসল পটুয়াদের বাড়িতে কিংবা আশেপাশে কোথাও থাকতেই পারেন। মাথাপিছু খরচ ৬০০ -৮০০ টাকা। এছাড়া, বালিচকে গেস্ট হাউসও রয়েছে। সেখানে থেকেও ঘুরে দেখতে পারেন নয়াগ্রাম।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে