সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রামে নেটওয়ার্ক না থাকায় উঁচু পাহাড়ে উঠে পড়াশোনা করতে হয়। কয়েকদিন আগেই এরকম এক ছাত্রের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (Virendra Sehwag)। রাজস্থানের সেই ছাত্রের নাম ছিল হরিশ। এবার সামনে এল সেরকমই পশু চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা করা একটি ছাত্রীর খবরও। স্বপ্নালী নামে ওই ছাত্রীকেও রোজ পাহাড়ে উপর একেবারে জঙ্গলের মধ্যে যেতে হয় পড়াশোনা করতে। শুধু তাই নয়, বৃষ্টিতে পড়ার যাতে ক্ষতি না হয়, সেজন্য পাহাড়ের উপর একটি ছোট্ট ঘরও বানাতে হয়েছে তাঁকে।
জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ে (Mumbai) পশু চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা করতেন স্বপ্নালী। লকডাউন জারি হওয়ার আটদিন আগেই সিন্ধুদূর্গে (Sindhudurg) নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন। এরপরই জারি হয় লকডাউন (Lockdown)। তারপর কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পর অনলাইনেই ক্লাস শুরু হয়ে যায়। এদিকে, ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্রী স্বপ্নালী যেভাবেই হোক ক্লাস করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর ছিলেন। বাড়িতে নেটওয়ার্ক না থাকায়, গোটা গ্রামে ঘোরেন। সেখানেও না পেয়ে বাড়ি থেকে দু’কিমি দূরের উঁচু পাহাড়ে ওঠেন। সেখানে মোবাইলের নেটওয়ার্ক পেয়ে যান তিনি। আর তারপর থেকে এটাই তাঁর রোজনামচা। বন্যপ্রাণীর ভয়কে উপেক্ষা করে পাহাড়ের উপরের জঙ্গলে গিয়ে পড়াশোনা করতে থাকেন তিনি।
তবে সম্প্রতি বর্ষার মরশুম এসে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে বা গাছের তলায় বসে পড়তে সমস্যা হচ্ছিল স্বপ্নালীর। কিন্তু এবারও নিজেই উপায় বের করেন। ওখানেই বাঁশ, দড়ি, কাপড় এবং ত্রিপল দিয়ে একটি ছোট্ট ঘর বানিয়ে নেন তিনি। আপাতত সেখানেই চলছে তাঁর পড়াশোনা। জানা গিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। কিন্তু টাকার অভাবে তা পড়া হয়নি। আর তাই পশু চিকিৎসা নিয়েই পড়াশোনা করতে শুরু করেন স্বপ্নালী। সফল হওয়ার তাগিদে মেয়ের এই কঠোর পরিশ্রম দেখে খুশি তাঁর মা-বাবাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.