Advertisement
Advertisement
Kali Puja

উৎসবের মোড়কে বড় বার্তা, বলি প্রথার প্রতিবাদে মণ্ডপ সাজিয়ে চমক এই পুজোর

দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই শ্যামা মায়ের আরাধনায় ব্রতী তিলোত্তমা।

দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই শ্যামা মায়ের আরাধনায় ব্রতী তিলোত্তমা। আলোর উৎসবে মেতে উঠেছে বাঙালি। আর আপনিও যদি কালীপুজোর পরিক্রমায় আগ্রহী, তবে অবশ্যই আপনার তালিকায় রাখুন বড়িশা শান্তি সংঘ।

দেখতে দেখতে ৭৫-এ পা দিয়েছে বড়িশা এলাকার এই পুজো। সুতরাং জাঁকজমক করেই হয়েছে আয়োজন। তবে এ মণ্ডপে জাঁকজমকের আড়ালে সমাজকে সচেতনও করতে চেয়েছেন শিল্পী পাপাই সাঁতরা।

কালীপুজোর আঙিনায় প্রথমবার পা রেখেই পাঁঠা বলি নিয়ে সমাজের ভ্রান্ত ধারণাকে ভাঙতে চেয়েছেন শিল্পী। শাস্ত্রে পাঁঠা বলির উল্লেখ নেই। উল্লেখ আছে ছাগ বলির। যার অর্থ ষড়রিপু। কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মৎসয্য- এই ষড়রিপুকেই ঈশ্বরের সামনে সমর্পণের উল্লেখ রয়েছে শাস্ত্রে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, শাস্ত্র না জেনেই বলির নামে নিরীহ প্রাণীদের হত্যা করা হয়। শিল্পীর কথায়, ঈশ্বর তাঁর সন্তানের বলি চান না। বরং সেই পুজো তিনি গ্রহণ করেন না। এই বিভ্রান্তি মেটাতেই এহেন প্রয়াস। উল্লেখ্য, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বিসর্জন' নাটকও কুপ্রথার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল।

মণ্ডপের শুরুতে যেমন পশুবলির নৃশংসতা ফুটে উঠেছে, তেমনই মণ্ডপজুড়ে রয়েছে বলি প্রথার প্রতিবাদ। 'বলির কথাবলি' তাই উৎসবের মোড়কে বড় শিক্ষাও দেবে দর্শকদের।

পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা আনন্দ মুখোপাধ্যায় জানান, "৭৫ তম বর্ষে সকল সদস্য মিলে দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করেছি। তাই আশা করি, এই পুজো মানুষের মন ছুঁয়ে যাবে।"