নির্ধারিত সময়েই কি ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছতে পারবে মোহনবাগান? নাকি অপেক্ষা বাড়বে? এই টেনশনে তখন নখ দিয়ে আঙুল কাটছেন সমর্থকরা। কিন্তু ইনজুরি টাইমে আপুইয়া গোল করতেই বদলে গেল ছবিটা। যুবভারতীতে তখন বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। টানা তৃতীয়বার আইএসএল ফাইনালে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
কামিন্সদের ম্যাচ দেখতে সোমসন্ধ্যায় সল্টলেক স্টেডিয়ামে পৌঁছে গিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ। লখনউ সুপার জায়ান্টস কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার পাশে বসেই রুদ্ধশ্বাস লড়াই উপভোগ করলেন অধিনায়ক পন্থ।
রামনবমীর দিন ইডেনে কেকেআরের বিরুদ্ধে লখনউয়ের নামার কথা থাকলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে শেষে দিনবদল হয়। আগামিকাল, মঙ্গলবার ইডেনে মুখোমুখি হবে দুই দল। তার আগে মোহনবাগানের ম্যাচ দেখতে এদিন যুবভারতী পৌঁছে যান তিনি। এদিকে সবুজ-মেরুনের এই দুরন্ত জয় সমর্থকদের উৎসর্গ করেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।
প্রতিবারের মতো এবারও ম্যাচ শুরুর আগে চোখে পড়ে বাগান ভক্তদের নিয়ে আসা টিফো। গত ম্যাচে জামশেদপুরে হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল মোহনবাগান সমর্থককে। মাথা ফাটে তাঁর। খেলার মাঠে যাতে এধরনের হিংসার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই বার্তাও দেখা যায় এক টিফোয়।
ম্যাচের আগে ম্যাকলারেন ওই সমর্থকের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, মাঠেই সব হিংসার জবাব দেবেন। বিশাল কাইথ, শুভাশিস বসুদের উপর আস্থা রেখেছিলেন ভক্তরা। সেই ভরসার মর্যাদা রেখেছেন তাঁরা। তাই তো ম্যাচ শেষে আনন্দে আত্মহারা সমর্থকরা।
শনিবার ফাইনালে প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু। মোহনবাগান কোচ মোলিনা সুনীল ছেত্রীর দলকে সমীহ করে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললেন, "বেঙ্গালুরু খুব ভালো দল। ভালো ফর্মে রয়েছে। তবে ঘরের মাঠে নিজেদের দর্শকদের সামনে খেলার একটা আলাদাই অনুভূতি। চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ করতে চাই।"
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.