Advertisement
Advertisement
Terror Attack

রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! বারবার টার্গেট পর্যটন কেন্দ্রগুলি, এই ৯ হামলায় শিউরে উঠেছিলেন পর্যটকরা

কেন বেছে বেছে পর্যটন কেন্দ্রেই আক্রমণ?

পহেলগাঁও হামলা (২২ এপ্রিল, ২০২৫)- পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে সবুজ উপত্যকায় পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। আইবি অফিসার, নৌসেনা আধিকারিক-সহ ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে। লশকর-ই-তইবার সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট এই হামলার দায় স্বীকার করে। এদিকে এই হামলার পর সন্ত্রাসবাদ দমনে আরও কড়া অবস্থান নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। কিন্তু কেন বার বার পর্যটনস্থল গুলিতে হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। তবে কী সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোয় একমাত্র উদ্দেশ্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির। না কি এর পিছনে দেশের অর্থনীতির অগ্রগতিকে পিছনে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত কাজ করছে।

অমরনাথ যাত্রা হামলা (১০ জুলাই, ২০১৭)- অমরনাথ যাত্রা থেকে ফেরার পথে পুন্যার্থীদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত হন ৮ জন, আহতের সংখ্যা ১৯। লস্কর-ই-তইবা এবং ইন্ডিয়ান মুজাহেদিন (আইএম) এই হামলার দায় স্বীকার করে।

বারাণসী ঘাট বিস্ফোরণ ( ৭ ডিসেম্বর, ২০১০)- বারাণসীর শীতলা ঘাটে সন্ধ্যার গঙ্গা আরতী চলার সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। একজন শিশু-সহ দু’জন নিহত হন। বিদেশি পর্যটক-সহ মোট ৩৮ জন আহত হন। শীতলা ঘাটের একটি দুধের পাত্রে বোমাটি লুকানো ছিল। ইন্ডিয়ান মুজাহেদিন জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় নিয়েছিল।

বোধগয়া মন্দির হামলা (৭ জুলাই, ২০১৩)- বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বোধগয়ার মহাবোধি মন্দির। দুই বৌদ্ধ ভিক্ষুক-সহ পাঁচ জন আহত হন। পাঁচজনকে এই ঘটনায় দোষী সাবস্ত্য করা হয়।

পুণে জার্মান বেকারি বিস্ফোরণ ( ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১০)- পুণের জার্মান বেকারিতে বোমা বিস্ফোরণে ১৮ জন নিহত হন। আহত হন আরও ৬০ জন। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর এটাই ছিল ভারতে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা।লস্কর-ই-তইবা এবং ইন্ডিয়ান মুজাহেদিন (স্টুডেন্স ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া) ছদ্মনামে এই হামলার দায় স্বীকার করে।

২৬/১১ মুম্বই হামলা ( ২৬-২৯ নভেম্বর, ২০০৮)- লস্কর-ই-তইবার ১০ জন সশস্ত্র জঙ্গি মুম্বইয়ের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় হামলা চালায়। এই সন্ত্রাসবাদী হামলায় ১৬৪ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারান। আহত হন ৩০৮ জন। ৯ জন সন্ত্রাসবাদীকে গুলি করে খতম করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় একমাত্র জীবীত জঙ্গি আজমল কাসভকে। পরে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এই হামলা ভারতের বুকে সবচেয়ে বড় নাশকতামূলক হামলা ছিল। সারা বিশ্ব এই হামলার নিন্দা জানায়।

জয়পুর ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ( ১৩ মে, ২০০৮)- জয়পুরের ন’টি জায়গা ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। ৬৩ জন নিহত হন এই সন্ত্রাসবাদী হামলায়। সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২১৬ জন আহত হন।

দিল্লি দিওয়ালি বিস্ফোরণ (২৯ অক্টোবর, ২০০৫)- রাজধানীতে ঘটা পরপর তিনটি বিস্ফোরণে ৬২ জন নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ২১০ জন। দিওয়ালির দু’দিন আগে মধ্য ও দক্ষিণ দিল্লির দু’টি বাজার এবং শহরের দক্ষিণে একটি বাসে এই বিস্ফোরণ হয়।

লালকেল্লায় হামলা (২২ ডিসেম্বর, ২০০০)- দু’জন সন্ত্রাসবাদী দিল্লির লালকেল্লায় হামলা চালায়। এই হামলায় দু’জন সেনা জওয়ান এবং একজন সাধারণ নাগরিক নিহত হন।