Advertisement
Advertisement

Breaking News

চক্রবেড়িয়া সর্বজনীন

পরতে পরতে জীবনদর্শন উঠে আসবে চক্রবেড়িয়া সর্বজনীনের পুজোয়

কীভাবে তৈরি হচ্ছে 'পরত', দেখুন ভিডিও।

Durga Puja 2019: Chakraberia Sarbojonin puja theme is layers
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 27, 2019 6:18 pm
  • Updated:September 27, 2019 7:15 pm

পুজো প্রায় এসেই গেল৷ পাড়ায় পাড়ায় পুজোর বাদ্যি বেজে গিয়েছে৷ সেরা পুজোর লড়াইয়ে এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায়৷ এমনই কিছু বাছাই করা সেরা পুজোর প্রস্তুতির সুলুকসন্ধান নিয়ে হাজির sangbadpratidin.in৷ আজ পড়ুন চক্রবেড়িয়া সর্বজনীনের পুজো প্রস্তুতি৷

সুচেতা সেনগুপ্ত: জীবনরহস্য তো পরতে পরতেই খোলে। অন্তরের অনুভূতিগুলোও তাই। রোজকার গতিশীল জীবনে এই দর্শনের কথা তো আলাদাভাবে ভাবার সুযোগ হয়ে ওঠে না। তাই বছরের এই বিশেষ সময়টি, অর্থাৎ শারদোৎসবের আবহে সেই দর্শনকেই সামনে আনছেন শিল্পী সুশান্ত পাল। চক্রবেড়িয়া সর্বজনীনের পুজোর মধ্যে দিয়ে। এবার এখানকার থিম – পরত। সুশান্ত পালের সৃজনে পূর্ণতা পাচ্ছে ত্রিস্তরীয় মণ্ডপ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পিতৃপক্ষেই পুজো উদ্বোধন, হাতিবাগান সর্বজনীনে গিয়ে চণ্ডীপাঠে ‘না’ মমতার]

ভরপুর পুজোর মুডে প্রবেশের আগেই আমরা ঘুরে দেখছিলাম চক্রবেড়িয়া সর্বজনীনের মণ্ডপটি। কাজ হয়েছে অনেকটাই। এখন একেবারে শেষ মুহূর্তে রাতেও কাজের বিরাম নেই। এমনকী থিমশিল্পী নিজেও মণ্ডপে উপস্থিত থেকে নিজের হাতে দিচ্ছেন ফিনিশিং টাচ। কাছে পেয়ে তাই সুশান্ত পালকেই জিজ্ঞাসা করলাম থিম ভাবনা, নির্মাণ, কাজ সব কিছু নিয়ে।

Advertisement

chakraberia-1

তিনি বুঝিয়ে দিলেন পরতের মাহাত্ম্য, তাৎপর্য। বললেন, ‘দর্শনার্থীরা মণ্ডপে ঢুকে পরতে পরতে এখানকার থিমটি উপলব্ধি করতে পারবেন। ধাঁধা বা বিভ্রম, বাস্তব এবং বিমূর্ত – এই তিনটি স্তর নিয়ে কাজ করেছি এবার। রোজকার জীবনে অনেক জিনিসেই ইলিউশন বা বিভ্রম টের পাই আমরা। বুঝেও যেন বুঝে ওঠা যায় না। এরপর আমরা এসে পড়ি বাস্তবের মাটিতে। যেমন, এই মণ্ডপের মধ্যে দেবী দুর্গার অধিষ্ঠান। এই আমরা সকলে এখানে দাঁড়িয়ে – এই স্তরটি বাস্তব। শুধু বাস্তব দৃশ্যের পরই সব শেষ হয়ে যায় না। তারপরও থাকে আরেকটা জগৎ, যাকে আমরা বলি অ্যাবস্ট্রাক্ট বা বিমূর্ত। যা সম্পর্কে আমাদের কার্যত কোনও ধারণাই থাকে না। সবটাই ধোঁয়াশা।’

chakraberia-2

এই তিনটি স্তরকে মণ্ডপের ভিতরে ফুটিয়ে তুলতে কাজও চলছে পুরোদমে। খুব সাদামাটা, হালকা উপকরণ দিয়ে সাজছে চক্রবেড়িয়া সর্বজনীনের মণ্ডপ। চোখে পড়বে তিনটি আলাদা রং। কিছুটা ধূসর, কিছুটা সোনালি, আবার কিছুটা বাদামি রঙের ‘পরত’ রয়েছে গোটা মণ্ডপজুড়ে। সুচারুভাবে নির্মিত হয়েছে প্রতিটি কোণা। প্রস্তুতির শেষ পর্বে বৃষ্টিবাদলার কারণে আপাতত দেবীমূর্তি প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা। তবে তাঁর রূপ বুঝতে বিশেষ অসুবিধা হয় না। দেবী এখানে পদ্মাসনা, নানা অলংকারে ভূষিতা।

chakraberia-idol

[আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পুজোর বাজারেও, কপাল পুড়ল ব্যবসায়ীদের]

সবচেয়ে কঠিন বোধহয় ছিল অ্যাবস্ট্রাক্ট বা বিমূর্ত স্তরটি নির্মাণ। তবে শিল্পী সুশান্ত পাল যেখানে সৃষ্টিসুখে মেতে ওঠেন, সেখানে কি আর কিছুই তেমন কঠিন হয়? না বোধহয়। তাই এই স্তরটিও তিনি তৈরি করেছেন অনায়াসে। মণ্ডপের একেবারে পিছনের দিকটা ত্রিপলঘেরা – ছোট ছোট খোপ। তাতে কী আছে না আছে, সে সম্পর্কে আমাদের কোনও ধারণা নেই। কিন্তু সেখানে কিছু একটা আছে, যা বুঝে নেওয়ার আগ্রহটাই বাড়িয়ে তোলে চক্রবেড়িয়া সর্বজনীন। যা বুঝিয়ে দেয়, দেবীদর্শনই অন্তিম নয়। তারপরেও রয়েছে আরেকটি অজানা জগৎ।

দেখুন ভিডিও: 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ