সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গা পুজো (Durga Puja 2020) অতীত হওয়ার পর থেকেই দিওয়ালির (Diwali 2020) অপেক্ষায় দিন গুনতে থাকে গোটা দেশ। থাক না করোনার (CoronaVirus) ভ্রুকুটি। প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজের ও পরিবারের মঙ্গল কামনায় ব্রতী হবেন মানুষ।
এ বছর ১৪ নভেম্বর পড়েছে দীপাবলি। ওই দিনই আবার বাঙালির কালী পুজো (Kali Puja 2020)। কোন সময়ে প্রদীপ জ্বালালে অমঙ্গলের অন্ধকার দূর হবে? অবশ্যই সন্ধ্যাবেলা। কিন্তু সময়টা জেনে রাখা প্রয়োজন। দীপান্বিতা লক্ষ্মী পুজোর তিথি এবার থাকছে সন্ধ্যা ৫.২৮ মিনিট থেকে ৭.২৪ মিনিট পর্যন্ত। মোট ১ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট। প্রদোষ কাল থাকছে ৫.২৭ মিনিট থেকে ৮.০৭ মিনিট পর্যন্ত। অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে ১৪ নভেম্বরের বেলা ২.১৭ মিনিট থেকে। শেষ হবে ১৫ নভেম্বরের সকাল ১০.৩৬ মিনিটে। নিশীথ কাল অনুযায়ী লক্ষ্মী পুজোর মহরত ১৪ তারিখের রাত ১১.৫৮ মিনিট থেকে গভীর রাত ১২.৩২ মিনিট পর্যন্ত। মহানিশীথ কাল রাত ১১.৩৯ মিনিট থেকে গভীর রাত ১২.৩২ মিনিট পর্যন্ত।
[আরও পড়ুন: জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি চান? লক্ষ্মীপুজোয় এই কাজগুলি ভুলেও করবেন না]
সাধারণত ধনতেরাস অথবা ধনত্রয়োদশী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিওয়ালি উৎসবের সূচনা হয়। বাঙালির দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার ১৮ দিন পর। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ীই এই দিনেই ১৪ বছরের বনবাস সেরে অযোধ্যায় ফিরেছিলেন শ্রী রামচন্দ্র (Rama)। প্রিয় রাজাকে ফেরত পেয়ে দীপ জ্বেলে অযোধ্যাকে সাজিয়ে তুলেছিলেন সাধারণ মানুষ। আয় এবং সমৃ্দ্ধির কামনা করে অনেকেই এই দিনে লক্ষ্মী (Laxmi) এবং গণেশের (Ganesh) আরাধনা করেন। তবে শুধু লক্ষ্মী-গণেশ বন্দনাই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই দিনে বিশ্বাসভেদে অন্যান্য দেবতারও আরাধনা করা হয়। উদাহরণ হিসেবে সবার প্রথমে বাংলার কথা বলা যায়।
১) দীপাবলির দিনই হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এবার কালী পুজোয় মাতবেন। তবে কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতির জন্য এবারে উৎসবে জাঁকজমক তেমন থাকবে না। অনেকে আবার এদিন অলক্ষ্মীর বিদায়ের জন্য লক্ষ্মী পূজাও করেন।
২) জৈন মতে আবার মহাবীর দীপাবলির দিনই মোক্ষ লাভ করেছিলেন।
৩) দিওয়ালির দিনই শিখ সম্প্রদায়ের ষষ্ঠ গুরু হর গোবিন্দ এবং ৫২ জন রাজপুত্র জাহাঙ্গিরের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। শিখরা এই দিনটিকে ‘বন্দি ছোড় দিবস’ হিসেবে পালন করেন।
৪) আর্য সমাজ এই দিনটিকে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর মৃত্যুদিন এবং “শারদীয়া নব-শস্যেষ্টি” হিসেবেও পালন করে।
যে যেভাবেই পালন করুক না কেন, অমঙ্গলের নাশ হয়ে মঙ্গল কামনাই সকলে করে থাকেন এই দিনটিতে। এবারও তাই প্রার্থনা করবেন প্রত্যেকে। অগ্রাধিকার পাবে করোনার (COVID-19) বিনাশ হয়ে সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়া।