দীপঙ্কর মণ্ডল: এবার রাজ্যের স্কুলপাঠ্যে অনুকূল ঠাকুরকে রাখার আবেদন জানাল খেজুরি সৎসঙ্গ। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছে আশ্রম কর্তৃপক্ষ।
মাধ্যমিকস্তরে শ্রী শ্রী অনুকূলচন্দ্র ঠাকুরের জীবনী ও বাণী স্কুলপাঠ্যে রেখেছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ সরকার। শিশুমনকে আরও মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক করে গড়ে তুলতে সে দেশে রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের পাশাপাশি ঠাঁই পেয়েছেন অনুকূলচন্দ্র ঠাকুর। পড়ুয়াদের স্বার্থে এ রাজ্যের স্কুলেও অনুকুল ঠাকুরকে পাঠ্যে রাখার পক্ষে সায় দিয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তরের একটি অংশ। তাঁদের থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হল খেজুরি সৎসঙ্গের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই খেজুরি বন্দর সৎসঙ্গ আশ্রমের তরফে অনুকূলচন্দ্রের জীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানিয়ে মেল পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। খেজুরি সৎসঙ্গে ৫২ তম বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। ওইদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছে আশ্রম কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: অবশেষে কাটল লুধিয়ানা থেকে ডানকুনি ফ্রেট করিডরের জট, চড়া দামে জমি কিনবে সরকার]
খেজুরি সৎসঙ্গ আশ্রমের সভাপতি মেঘনাদ মণ্ডল ও সম্পাদক সর্বেশ্বর মণ্ডলের কথায়, “ভারতবর্ষের সংবিধানে শিক্ষা বিষয়টি যুগ্ম তালিকায়। মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর স্কুলের সিলেবাস আরও আধুনিক এবং যুগোপযোগী করেছেন। সিলেবাস সংস্কার করতে তিনি আলাদা কমিটিও গড়েছেন। আমাদের আবেদন বাংলাদেশের মত এ রাজ্যেও স্কুলে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের জীবনী ও বাণী পড়ানো হোক।” কিন্তু কেন এমন আবেদন? আশ্রম কর্তাদের কথায়, দেশে এখন যেভাবে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে তাতে ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ঠাকুরের সহিষ্ণুতার কথা আরও বেশি করে অনুসরণ করলে মানসিক শান্তি বাড়বে। যা সমাজের জন্য ও পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।