Advertisement
Advertisement

Breaking News

NASA

চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো সূক্ষ্ণ আলোককণার দৌড়, সূর্যের তেজের নেপথ্যে রয়েছে এই ‘ন্যানোজেট’

কী এই 'ন্যানোজেট', জানুন বিস্তারিত।

Nasa spots 'nanojets' that are responsible for the Sun to be so hot| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 9, 2020 6:45 pm
  • Updated:October 9, 2020 6:45 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেবারে সূক্ষ্ম, তবে তীব্র আলো চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার জোগাড়। সেইসঙ্গে প্রবল তাপশক্তি। সূর্যের তেজের নেপথ্যে এমনই কিছু ‘ন্যানোজেট’-এর (Nanojets) ভূমিকাকে দায়ী করলেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। এ নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ জার্নালে। তাতেই উঠে এসেছে এই তত্ত্ব। সেইসঙ্গে ‘ন্যানোজেট’-এর প্রকৃত ছবিও দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে, এই ‘ন্যানোজেট’ একত্রিত হয়েই সৌরছটা তৈরি করে, যার জেরে সূর্যের উপরিতল এতটা উষ্ণ।

উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন টেলিস্কোপে ‘ন্যানোজেট’-এর ছবি দেখে বিজ্ঞানীরা বলছেন, খুব সূক্ষ্ম আলোর কণা এরা। কিন্তু অতীব উজ্জ্বল। এই কণা উল্লম্বভাবে (Perpendicular) সূর্যের চৌম্বকক্ষেত্রের দিকে প্রবাহিত হতে থাকছে অনবরত। এই চলন সৌরছটা বা Flare-এ পরিণত হচ্ছে। এগুলো কেন্দ্রীভূত হয়ে তৈরি হচ্ছে ‘Corona’ অর্থাৎ সূর্যতেজের মূল উৎস। ‘ন্যানোজেট’এর ছবি দেখে এই ব্যাখ্যাই দিয়েছে নাসা। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এতদিন Corona অংশ নিয়ে ধারণা থাকলেও, তা যে এভাবে তৈরি হচ্ছে, সেই বিষয় এতটা স্পষ্ট কোনও ছবি থিল না। এবার ‘ন্যানোজেট’-এর ছবি বদলে দিল অনেক ধারণা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পৃথিবীর খুব কাছে মঙ্গল! রাতের আকাশে খালি চোখেই দেখা যাবে লালগ্রহকে]

গবেষকদের কথায়, “হাই রেজোলিউশন টেলিস্কোপে ন্যানোজেটের ছবি দেখে বোঝা গিয়েছে, এরা অতি দ্রুত চৌম্বকক্ষেত্রের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে এবং তাকে বেশ প্রভাবিত করছে। এমনকী কোনও কোনও কণা চৌম্বকক্ষেত্রের সংস্পর্শে এসে ভেঙেও যাচ্ছে। ফলে আবার সূর্যের চৌম্বকক্ষেত্র নতুন করে বিন্যস্ত হচ্ছে। এই ক্ষেত্র সাপেক্ষে যদিও কোনও কণার অবস্থান সঠিক না হয়, তাহলে ওই ন্যানোজেটের গতি তাকে স্বস্থানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। মোট কথা, সূর্যের অন্তরে সর্বক্ষণ একটা তোলপাড় চলছে, যার নেপথ্যে এই ন্যানোজেট। এর জন্যই সূর্য এত তেজোদীপ্ত।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বোয়িং বিমানের আকারের অতিকায় গ্রহাণু, ক্ষতির সম্ভাবনা কতটা?]

সূর্য সম্পর্কে নাসার Interface Region Imaging Spectrograph (IRIS) মিশনের অন্তর্গত গবেষণার এই পর্যবেক্ষণ এবং এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। নাসার (NASA) ব্যাখ্যা, ন্যানোজেট এতই সূক্ষ্ম যে সূর্যের উজ্জ্বলতার মাঝে এর অস্তিত্ব বোঝা মুশকিল। এবার তার স্পষ্ট ছবি পাওয়া বড় সাফল্য। এই ন্যানোজেটরাই সূর্যে চৌম্বকক্ষেত্রের বিন্যাস, পুনর্বিন্যাসের জন্য মূল দায়ী। আর তাই সূর্য সামগ্রিকভাবে এত বেশি উত্তপ্ত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ